শেরপুরের তিন আসনে ৩১৫ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ
শেরপুরের তিনটি আসনের ৪২৪টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৩১৫টিই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর মধ্যে ১৭২টি ভোটকেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ, ১৪৩টি ঝুঁকিপূর্ণ এবং ১০৯টি ভোটকেন্দ্র সাধারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে জেলা পুলিশ। সে হিসাবে জেলার তিনটি আসনের ৯৪টি ভোটকেন্দ্রকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
তথ্যমতে, শেরপুর সদরের ৫১টি, নকলা উপজেলার তিনটি, নালিতাবাড়ী উপজেলার তিনটি, শ্রীবরদী উপজেলার ২৫টি এবং ঝিনাইগাতী উপজেলার ১২টি ভোটকেন্দ্রসহ মোট ৯৪টি ভোটকেন্দ্র অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
অন্যদিকে, জেলার ঝুঁকিপূর্ণ ৯৪টি কেন্দ্রে দুজন করে পুলিশ সদস্য এবং ১২জন করে আনসার, সাধারণ ৩৩০টি ভোটকেন্দ্রে একজন পুলিশ এবং ১২জন আনসার থাকবে বলে জানানো হয়েছে। জেলায় মোট তিন প্লাটুন বিজিবি, ১১৭৯ জন পুলিশ এবং ৫ হাজার ৮৮জন আনসার ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করছে। এছাড়া বিজিবি, র্যাব, সেনাবাহিনী, গোয়েন্দা পুলিশ এবং সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছে। প্রতি উপজেলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে এক প্লাটুন সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে।
রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হবে। এর আগে ৬ জানুয়ারি (শনিবার) দুপুর থেকে স্ব-স্ব সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে ভোটের সব সরঞ্জামাদি ও কেন্দ্রে খরচের টাকা সংশ্লিষ্ট ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং অফিসারদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, শেরপুরের ৩টি আসনে মোট ৪২৪টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এসব কেন্দ্রে মোট ২ হাজার ৫৮৩টি ভোটকক্ষ রয়েছে। জেলায় মোট ভোটার রয়েছেন ১২ লাখ ১৭ হাজার ৭৫৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৬ লাখ ১ হাজার ৪২৫ জন ও নারী ৬ লাখ ১৬ হাজার ৩২১ জন। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৯ জন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আনোয়ারুল হক বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর পাশাপাশি জেলায় মোট ২০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ৯ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।
শেরপুরের পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে থাকার পাশাপাশি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে পুলিশ সদস্যরা। এছাড়া ব্যাটালিয়ন আনসারদের একটি অংশ পুলিশের সঙ্গে কাজ করছে। একটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে জেলা পুলিশ বদ্ধপরিকর।
এ ব্যাপারে শেরপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল খায়রুম বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখতে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার তিনটি আসনে ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে শেরপুর-১ (সদর) আসনে সাতজন, শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে তিনজন ও শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনে ছয়জন প্রার্থী রয়েছেন।
ইমরান হাসান রাব্বী/এমএএইচ/