ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২

জামানত হারালেন জাপা প্রার্থীসহ প্রয়াত দুই এমপির ছেলে

জেলা প্রতিনিধি | ব্রাহ্মণবাড়িয়া | প্রকাশিত: ১২:১৯ পিএম, ০৮ জানুয়ারি ২০২৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) সংসদীয় আসনটি ২০২৩ সালে বছরজুড়ে আলোচনায় ছিল। এই আসনে এমপি নির্বাচিত করতে এক বছরে একাধিক উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এই আসনটি আলোচনায়।

রোববার (৭ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে জয়লাভ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কলারছড়ি প্রতীকের মঈন উদ্দিন। তিনি ৮৪ হাজার ৬৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৪৩১ ভোট।

এই আসনে মোট এক লাখ ৪৯ হাজার ১১৯ বৈধ ভোট পড়েছে। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী এই ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ ভোট কোনো প্রার্থী না পেলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। ফলে এই আসনে কোনো প্রার্থী ১৮ হাজার ৬৪০ ভোটের কম পেয়ে থাকলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।

আওয়ামী লীগ এই আসন ছেড়ে দেওয়ায় নির্বাচন করেন লাঙ্গল প্রতীকের জাতীয় পার্টির প্রার্থী রেজাউল ইসলাম ভূঞা। তিনি জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় অতিরিক্ত মহাসচিব এবং এই আসনের দুইবারের সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধার জামাতা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ৩ হাজার ৪০৮ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।

এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের ছয় বারের প্রয়াত এমপি উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞার ছেলে মাইনুল হাসানও এবার নির্বাচনে অংশ নেন। নির্বাচনের আগে তিনি তৃণমূল বিএনপিতে যোগদান করে দলের সোনালী আঁশ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে তিনি ৪ হাজার ৩১৮ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।

এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন প্রয়াত সংসদ সদস্য মুফতি ফজলুল হক আমিনীর ছেলে মো. আবুল হাসনাত। তিনি ইসলামি ঐক্যজোটের একাংশের চেয়ারম্যান পদে আছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হাসনাত আমিনী মিনার প্রতীকে ৯৯৪ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান জানান, কোনো আসনে পড়া মোট বৈধ ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ ভোট না পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।

আবুল হাসনাত মো. রাফি/এফএ/জেআইএম