৪ দিনেও সূর্যের দেখা নেই লালমনিরহাটে
টানা চারদিন ধরে কুয়াশার চাদরে ঢাকা সীমান্তবর্তী লালমনিরহাট। হিমেল হাওয়া আর ঠান্ডায় কাঁপছে এ অঞ্চলের মানুষ। দেখা মিলছে না সূর্যের। এতে বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও নিম্নআয়ের মানুষ।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাত ও দিনে বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছে না মানুষ। ঠান্ডায় কাজে যেতে না পেরে অনেকটা সংকটে পড়েছেন নিম্নআয়ের দিনমজুর ও শ্রমিকরা। ঠান্ডা বাতাসে ঘরে থাকা দায় হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের মানুষদের।

ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডায় নষ্ট হচ্ছে ধানের বীজতলা ও আলুক্ষেত। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। ঠান্ডায় কষ্ট পাচ্ছে গরু-ছাগল। প্রাণীগুলোর শীতজনিত রোগের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

পাটগ্রাম উপজেলার বউরা ইউনিয়নের ফকর উদ্দিন (৬০) বলেন, ‘শীততো আমাদেরই বেশি লাগে। এ শীতে কোথাও বেড়াইতে পারি না। বসে বসে আগুন তাপা ছাড়া কোনো উপায় নেই।’

পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, শীতে দহগ্রাম-আঙ্গোরপোতার ছিন্নমূল মানুষ কষ্টে আছে। তিস্তা নদীবেষ্টিত হওয়ায় এখানে শীতের তীব্রতা বেশি। তবে সরকারিভাবে কোনো শীতবস্ত্র এখনো আসেনি।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, জেলায় এরইমধ্যে ২৪ হাজার পিস কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শিশুদের জন্য ৫০ হাজার পিস জ্যাকেট ও সোয়েটারের চাহিদা দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ এলে তা দ্রুত বিতরণ করা হবে।
রবিউল হাসান/এসআর/জেআইএম