ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

কনকনে শীতে সূর্যের দেখা নেই

জেলা প্রতিনিধি | জয়পুরহাট | প্রকাশিত: ০৪:৩০ পিএম, ১৩ জানুয়ারি ২০২৪

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা জয়পুরহাট। উত্তরের হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশায় প্রায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এখানকার জনজীবন। রাতে বৃষ্টির ফোঁটার মতো পড়ছে শিশির। তীব্র শীতেও কয়েক দিন ধরে দেখা মেলেনি সূর্যের।

আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে ১০ টা ৪৫ মিনিটে জেলায় ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। শুক্রবার রেকর্ড করা হয়েছিল ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সরেজমিনে জেলার হাসপাতাল ও বিভিন্ন এলাকাঘুরে দেখা যায়, ঠান্ডায় হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীদের ভিড় বেড়েছে। দিনের বেলায়ও যানবাহনকে লাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে। বেশিরভাগ শ্রমজীবী, নিম্ন আয়ের মানুষরা পড়েছেন বিপাকে।

ভ্যানচালক রাব্বি ইসলাম বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে বাসায় বসে আছি। বৃষ্টি নেই তবে কনকনে শীত। শীত বেশি হওয়ায় সকাল ও সন্ধ্যায় রাস্তায় মানুষের চলাচল কিছুটা কমে গেছে। ঠিকমতো ভাড়া হচ্ছে না।

গ্রামীণ নারীরা জানান, বৃষ্টি না থাকলেও প্রচন্ড ঠান্ডা। রাতে শিশির ঝরার শব্দ শোনা যায়। সকালে গৃহস্থালী কাজ করতে গিয়ে কনকনে ঠান্ডায় হাত-পা অবশ হয়ে আসে। দিনের বেলায় গ্রামীণ জনপদের নিম্ন আয়ের মানুষরা শীত নিবারণ করছেন খড়কুটো জ্বালিয়ে।

জেলা আধুনিক হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার শহিদ হোসেন জানান, শীত জনিত নানা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিশু ও বয়স্করা বেশি পরিমাণে আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশেষ করে শ্বাস কষ্ট জনিত রোগী বেশি পরিমাণে আক্রান্ত হচ্ছেন। রোদ ছাড়া শিশুদের বাইরে বের না হওয়া এবং গরম খাবার খাওয়ানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে তাপমাত্রা কমায় ব্যস্ততা বেড়েছে জেলার লেপ-তোষকের দোকানে। পাশাপাশি বিভিন্ন গরম কাপড়ের দোকানেও বেড়েছে বেচাকেনা। রেলওয়ে হকার্স মার্কেটে পুরানো কাপড়ের দোকানগুলোতে ছিন্নমূল মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায়।

বদলগাছী আবহাওয়া অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যবেক্ষক হামিদুল হক বলেন, মেঘাচ্ছন্ন আকাশ আর ঘনকুয়াশার কারণে দুই দিন ধরে সূর্যের দেখা নেই। ঘন কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় কয়েকদিন ধরেই তাপমাত্রা নিম্নমুখী হতে শুরু করেছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে যাওয়ায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।

জেলা ত্রাণ, পুনর্বাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আব্দুল করিম জানান, জয়পুরহাট জেলার পাঁচ উপজেলায় ইতোমধ্যে প্রথম ধাপে ১৫ হাজার ১৫০ টি শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে চার হাজার ৭০ টি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং তৃতীয় ধাপে দুই হাজার ৫০০ টি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে যার বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও বেসরকারি সংস্থা ছিন্নমূল মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করছে।

এনআইবি/জিকেএস