ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

শীতে ফরিদপুরে হাসপাতালে বাড়ছে শিশু রোগীর সংখ্যা

জেলা প্রতিনিধি | ফরিদপুর | প্রকাশিত: ০৯:১৪ এএম, ১৭ জানুয়ারি ২০২৪

ফরিদপুরে গত কয়েক দিনে শীতের তীব্রতা বাড়ায় শীতজনিত রোগীর হার বেড়েছে। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধদের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দিনে জেলার তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর তিনদিন আগে ফরিদপুরে বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হঠাৎ এত শীতে বিভিন্ন শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে অনেকে।

গত এক সপ্তাহে ঠান্ডা, সর্দি, কাশি,হাঁপানী, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে ১ হাজারেরও বেশি শিশু বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। শহরের ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে শীত ও ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। প্রতিটি হাসপাতালে সকাল থেকেই বহির্বিভাগে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে।

শীতে ফরিদপুরে হাসপাতালে বাড়ছে শিশু রোগীর সংখ্যা

হঠাৎ শীত বেড়ে যাওয়ায় শিশুরা সর্দি, জ্বর, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। ছোট বাচ্চাদের গরম কাপড়ের মধ্যে রাখা গেলেও চঞ্চল শিশুদের শীতের মধ্যে ঘরে রাখা কষ্ট।

শীতে ফরিদপুরে হাসপাতালে বাড়ছে শিশু রোগীর সংখ্যা

ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আক্কাস আলী মন্ডল জানান, প্রতিদিনই তাদের হাসপাতালের বহির্বিভাগে সকাল-বিকেল দুই শিফটে গড়ে প্রায় পাঁচশো থেকে ছয়শো রোগী আসছে। দুইশো বেডের হাসপাতালে জায়গা সংকুলান হয় না। তাদের আউটডোরে চিকিৎসা দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে ফরিদপুর জাহিদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. ফারহানা ফাতেমা বলেন, ঠান্ডার সময় বেশিরভাগ শিশু নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। সিজেনাল ফ্লুর কারণে বর্তমানে প্রকোপটা বেশি। তাই বাচ্চাদের ঠান্ডা লাগানো যাবে না। ঘরের পরিবেশ কিছুটা উষ্ণ রাখা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, শিশুকে বাইরের খাবার থেকে যতটা সম্ভব বিরত রাখতে হবে। ঠান্ডা কমে গেলে শীতজনিত রোগের প্রকোপও কমে যাবে বলে জানান এই চিকিৎসক।

এন কে বি নয়ন/এফএ/জেআইএম