পঞ্চগড়ে রেলের টিকিট কালোবাজারি, যুবক আটক
পঞ্চগড়ে একটি বাহিনীর ভুয়া ওয়ারেন্টে ৪২টি আসনের রেলের টিকিট কালোবাজারির অভিযোগে আব্দুস সুবহান (২৫) নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকালে পঞ্চগড় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেল স্টেশনে আটকের পর বিকেলে তাকে দিনাজপুর রেলওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আটক আব্দুস সুবহান ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার গড়িয়ালী গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে। তিনি ঠাকুরগাওয়ের একটি কলেজের স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানায়, আব্দুস সুবহান আগেও একটি বাহিনীর ভুয়া ওয়ারেন্টে (এক প্রকার রেল টিকিটের বিশেষ চাহিদাপত্র) দেখিয়ে ৪২ টি টিকিট নেয় এবং টিকিটগুলো কালোবাজারে বিক্রি করা হয়। জালিয়াতির বিষয়টি জানতে পেরে তাকে ধরতে চারদিন ধরে ওঁৎ পেতে ছিল পঞ্চগড় রেল বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বৃহষ্পতিবার সকালে তিনি একই ধরনের ওয়ারেন্ট নিয়ে আবারও ৪২টি আসনের টিকিট নিতে আসেন। এসময় টিকিট মাস্টারের সন্দেহ হলে স্টেশন মাস্টার মাসুদ পারভেজকে বিষয়টি জানান। এক পর্যায়ে তাকে আটক করে রেল পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়। বিকেলে তাকে দিনাজপুর রেলওয়ে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।।
স্টেশনের বুকিং সহকারি রেজাউন সিদ্দিক জাগো নিউজকে বলেন, সুবহান নামের ওই যুবক একটি বাহিনীর ওয়ারেন্ট দেখিয়ে ৪২ টি টিকিট নিতে আসেন। সেই ওয়ারেন্ট দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। বিষয়টি স্টেশন মাস্টারকে অবগত করা হয়। পরে তাকে পঞ্চগড় রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাযতে দেওয়া হয়।
দিনাজপুর রেলওয়ে থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জেসমিন আক্তার জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে রেলওয়ের ফোর্সসহ আমরা পঞ্চগড় স্টেশনে যাই। এখানে একটি বাহিনীর অসম্পূর্ণ ওয়ারেন্ট ও কিছু কাগজপত্র জব্দসহ প্রতারণার অভিযোগে আব্দুস সুবহান নামে একজনকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আমরা তাকে দিনাজপুর রেলওয়ে থানায় নিয়ে এসেছি। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে স্টেশন মাস্টার মাসুদ পারভেজ বলেন, একটি বাহিনীর ভুয়া ওয়ারেন্টের মাধ্যমে রেল বিভাগের টিকিট জালিয়াতির বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে আমাদের সজাগ থাকতে বলা হয়। আটক ব্যাক্তি এর আগেও ওই বাহিনীর ওয়ারেন্ট দেখিয়ে ৪২ টিকিট নেন। দুটি বিশেষ বাহিনীর ৪২ জনের একটি দল ১৭ তারিখে পঞ্চগড়ের একটি হাসপাতাল ভিজিট করতে আসবেন বলে তিনি জানান। পরে বিভিন্ন ভাবে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি যে এমন কোনো প্রোগ্রাম পঞ্চগড়ে নেই। এরপর আমরা তাকে দিনাজপুর রেল পুলিশের হাতে সোপর্দ করি।
সফিকুল আলম/এনআইবি/জিকেএস