ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

কদর বাড়ছে পটুয়াখালীর তালশাঁসের

উপজেলা প্রতিনিধি | কলাপাড়া (পটুয়াখালী) | প্রকাশিত: ০৬:২০ পিএম, ১৪ মে ২০২৪

পটুয়াখালীর তালের শাঁসের চাহিদা বাড়ছে। কলাপাড়া, রাঙ্গাবালীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে তালের শাঁস সংগ্রহ করে সেটি রাজধানীতে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়াও কুয়াকাটা, কলাপাড়া, মহিপুর, আলীপুরসহ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে তালের শাঁস বিক্রি হচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) উপজেলার মহিপুর, হাজিপুর, কলাপাড়ার বেশ কয়েকটি স্থানে দেখা যায়, কেউ ট্রাক ভাড়া করে, কেউ ঢাকাগামী পরিবহনসহ বিভিন্ন বাহনে এ তালের শাঁস ঢাকায় পাঠাচ্ছেন।

কদর বাড়ছে পটুয়াখালীর তালের শাঁসের

মহিপুরের নাসির গাজী নামের এক পাইকার জানান, এ এলাকা থেকে গত ১০ বছর ধরে তাল কিনে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করি। এ বছর এখন পর্যন্ত ছয়বার তাল পাঠিয়েছি ঢাকায়। তাতে আমার ৭০-৮০ হাজার টাকা লাভ হয়েছে।

নাসির গাজীর মতো বেশ কয়েকজন পাইকারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিটি তাল গাছিদের কাছ থেকে দেড় টাকা থেকে তিন টাকায় কেনা হয় এসব তাল। গাছ থেকে নামিয়ে নির্ধারিত স্থানে নিয়ে আসা হয়। পরে ট্রাক-বাসে করে ঢাকায় পাঠানোসহ প্রতিটি তালের শাঁসের খরচ পড়ে সাড়ে ছয় টাকা থেকে সাত টাকা পর্যন্ত। যা ঢাকার বিভিন্ন আড়তে বিক্রি হয় ১০-২০ টাকায়।

কদর বাড়ছে পটুয়াখালীর তালের শাঁসের

কুয়াকাটা বাজারের সুদীপ পাল নামের এক বিক্রেতা জানান, গত চার বছর ধরে কাছাকাছি গ্রাম থেকে তাল কিনে স্থানীয় বাজারগুলোতে বিক্রি করি। রাস্তা চওড়া হওয়া, জমি বিক্রিসহ নানা কারণে মানুষ তাল গাছ কাটছেন। তাই তালও কমছে। কুয়াকাটায় পর্যটকরাও অনেক পছন্দ করেন তাল।

আব্দুর রহিম নামের এক ক্রেতা জানান, বাড়িতে তাল গাছ রয়েছে। তবে ভালো ফলন হয় না বলে বন্ধুরা মিলে ১০টি কিনেছি।

কদর বাড়ছে পটুয়াখালীর তালের শাঁসের

কুয়াকাটার পান্জুপাড়া এলাকার বাসিন্দা ষাটোর্ধ্ব মোতালেব হাওলাদার জানান, আগে তালের শাঁস ১-২ টায় বিক্রি হতো। এখন এলাকার থেকে দূরে নিয়ে বিক্রি করা হয়। তবে গত ১০ বছরে তাল গাছ কমেছে অর্ধেকের বেশি।

কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরাফাত হোসাইন জানান, তাল গাছ বজ্রপাতে ক্ষতি এড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর ফল বহুমুখী উপকারে আসে। তালের শাঁস প্রচণ্ড দাবদাহে প্রশান্তি এনে দেয়।

আসাদুজ্জামান মিরাজ/আরএইচ/এমএস