স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবি
২১ বছরের যুবকের বাড়িতে ৪২ বছরের নারীর অনশন
ছবি সংগৃহীত
এক বছর আগে ফেসবুকে পরিচয়। এরপর প্রেম। দেখা করতে গিয়ে বিয়েও করেন তারা। এটুকু পর্যন্ত ঠিক থাকলেও ব্যাপারটা একটু ভিন্ন। এখানে নারীর বয়স ৪২ আর ছেলেটির বয়স মাত্র ২১। এমন অসম প্রেমের বিয়ে হলেও কিছুদিন পরই পালটে যায় প্রেমিকের রূপ। বিয়ে করা স্ত্রীকে অস্বীকার করেন তিনি। একপর্যায়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন ছেলেটি। পরে বাধ্য হয়ে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবি নিয়ে ছেলের বাড়িতে অনশন শুরু করেন ওই নারী। এমন এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে শরীয়তপুর পৌর এলাকায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২৩ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কুড়িগ্রামের কবিরাজপাড়া এলাকার ৪২ বছর বয়সী এক নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে শরীয়তপুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিল্লাল সরদারের ছেলে নাদিম ওরফে জহিরের। পরে তারা চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি ঢাকায় দেখা করতে গিয়ে দুই লাখ টাকা কাবিনে কাজি অফিসে গিয়ে বিয়ে করেন। বিয়ের পর কিছুদিন তারা ঢাকার আবাসিক হোটেলে একান্তে সময় কাটান। এরপর ওই নারী দেশের বাড়ি কুড়িগ্রাম চলে গেলে ধীরে ধীরে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন নাদিম। একপর্যায়ে ওই নারী স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবি নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে নাদিমের বাড়িতে এসে অনশন শুরু করেন।
ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, নাদিম সবকিছু জেনেশুনে আমাকে বিয়ে করেছে। বিয়ের পর ওর যখন যা কিছুই দরকার পড়েছে আমি তাকে দিয়েছি। এমনকি আমার গহনা বিক্রি করেও টাকা দিয়েছি। এখন সে পারিবারিক চাপের কারণে আমাকে অস্বীকার করছে। আমি আমার অধিকার নিয়েই এ বাড়িতে এসেছি।
জানতে চাইলে নাদিম ওরফে জহির মুঠোফোনে বলেন, উনি আমাকে আগে ফেসবুকে এসএমএস করেছে। আমি জানতাম না তার এত বয়স। যখন জানতে পারি তখন পারিবারিকভাবে আমাদের সবকিছু শেষ হয়ে গিয়েছে। আমি তার সঙ্গে কোনো সংসার করিনি। এখন নতুন করে আর কিছুই নেই।
জহিরের মা রিজিয়া বেগম বলেন, ওই নারীর আগের একটি সংসার ছিল। সেখানে আমার ছেলের চাইতে বয়সে বড় দুটি সন্তান রয়েছে। এমন সম্পর্ক মেনে নেওয়ার মতো না। তাছাড়া ওদের ডিভোর্স হয়ে গেছে। এখন নতুন করে ওই নারী কেন আসছে বুঝতে পারছি না।
এ ব্যাপারে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। দুজনই প্রাপ্তবয়স্ক। তবে ভুক্তভোগী অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিধান মজুমদার অনি/আরএইচ/এমএস