ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

জেলেদের চাল আত্মসাৎ, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুদকের প্রতিবেদন

জেলা প্রতিনিধি | চাঁদপুর | প্রকাশিত: ১১:৩৭ এএম, ১৬ জুলাই ২০২৪

জাটকা আহরণ থেকে বিরতা থাকা জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত ৬ দশমিক ৭২ টন চাল আত্মসাতের ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনি পাটওয়ারী বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (১৫ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চাঁদপুরের সহকারী পরিচালক মো. কোরবান আলী।

তিনি বলেন, চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনি পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে প্রথমে থানায় অভিযোগ হয়। ওই অভিযোগটি মামলায় রূপান্তর হলে আদালতে প্রেরণ করা হয়। এরপর বিষয়টি দুদকের চাঁদপুর কার্যালয়ে পাঠানো হয়। দুদক প্রধান কার্যালয়ের অনুমতিক্রমে সাখাওয়াত হোসেন রনির বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ২২ আগস্ট মামলা হয়।

তিনি আরও বলেন, মামলাটি তদন্তের জন্য আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এতে দেখা যায়, ওই ইউনিয়নের গুদামে সংরক্ষিত জেলেদের চাল প্রথমে ৪ দশমিক ১ টন কম পাওয়া গেলেও পরবর্তীতে সব কাগজপত্র দেখে চূড়ান্তভাবে ৬ দশমিক ৭২ টন চাল কম পাওয়া যায়। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৩০ জুন তার বিরুদ্ধে জেলা জজ আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করি।

এর আগে ২০২২ সালের ১৭ মে চেয়ারম্যান সাখাওয়াত জেলা খাদ্য গুদাম থেকে জেলেদের চাল উত্তোলন করেন। পরদিন ১৮ মে ওই চাল বিতরণের জন্য গেলে উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান ও ট্যাগ অফিসার সুমন কুমার দাস গোডাউনে থাকা চাল প্রাথমিকভাবে ওজন করে ৪.১ মেট্রিক টন কম পান। জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চালের পরিমাণ ছিল ৫৩.৬৮ টন। বিষয়টি তাৎক্ষনিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়। এরপর গোডাউনটি সিলগালা করা হয়।

এ বিষয়ে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা শাহনাজের নির্দেশে সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান ঘটনার বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগটি মামলায় রূপান্তর হলে পুলিশ আদালতে পাঠায়। আদালত মামলাটি দুদকে তদন্ত করার জন্য প্রেরণ করেন।

চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনার পর আদালতের নির্দেশে গোডাউন খুলে চাল জেলেদের মাঝে বিতরণ করা হয়।

শরীফুল ইসলাম/জেডএইচ/এমএস