ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

বগুড়ায় ৬ মাস পর করব থেকে শিশুর মরদেহ উত্তোলন

নিজস্ব প্রতিবেদক | বগুড়া | প্রকাশিত: ০৪:৩৪ পিএম, ০৩ আগস্ট ২০২৪

বগুড়ার নন্দীগ্রামে চার মাস বয়সী শিশু নূর সাফায়েত মিজানের মরদেহ করব থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। শনিবার (৩ আগস্ট) সকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাদমান আকিফের উপস্থিতিতে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মামলা সূত্র জানা গেছে, নন্দীগ্রাম শিল্প-বণিক সমিতির সহ-সভাপতি একেএম ফজলুল হক কাশেমের দ্বিতীয় স্ত্রী সালমা বেগমের গর্ভে জন্ম নেওয়া ৪ মাসের শিশুপুত্র নূর সাফায়েত মিজানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার অভিযোগে এনে মামলা করেন সালমা বেগম। ওই মামলায় আসামি করা হয় একেএম ফজলুল হক কাশেমের (মৃত প্রথম স্ত্রীর পক্ষ) ছেলে জোবায়ের হোসেন সেতু, মেয়ে নূর আফরোজ জ্যোতি ও পুত্রবধূ সাথী আকতারকে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর সকাল ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে আসামিরা ৪ মাসের শিশুপুত্র নূর সাফায়েত মিজানকে পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। চলতি বছরের ১৩ মে এ ঘটনায় আদালতে মামলা করেন ওই শিশুর মা সালমা বেগম। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআই বগুড়াকে আদেশ দেন। এরপর পিবিআই বগুড়ার এসআই নাজমুল হক মামলাটির তদন্ত শুরু করেন। ময়নাতদন্তের জন্য শিশু নূর সাফায়েত মিজানের মরদেহ করব থেকে উত্তোলনের আবেদন করা হয়।

এ বিষয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এসআই) নাজমুল হক বলেন, মামলাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। ফরেনসিক রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মামলার বাদী সালমা খাতুন বলেন, আমার ৪ মাস বয়সী সুস্থ শিশু সন্তানকে আসামিরা পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। আমি ন্যায় বিচারের জন্য আদালতে মামলা করেছি।

একেএম ফজলুল হক কাশেম বলেন, আমার দ্বিতীয় স্ত্রী সালমা খাতুন লোভী নারী। তার আচরণ একেবারেই ভালো নয়। যে কারণে আমি তাকে ডিভোর্স দিয়েছি। তার হত্যার অভিযোগ সঠিক নয়। নিজের স্বার্থের জন্য হত্যা মামলা করেছে।

এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদমান আকিফ জানান, সবার উপস্থিতিতে শিশুটির মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। এখন ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।

আরএইচ/এএসএম