ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ছাত্রদের ওপর হামলায় নেতৃত্ব দেওয়া উপজেলা চেয়ারম্যানের পদত্যাগ

জেলা প্রতিনিধি | মৌলভীবাজার | প্রকাশিত: ১২:২০ পিএম, ১৬ আগস্ট ২০২৪

আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে ওঠে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী মনির বিরুদ্ধে। এর পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের চাপে পদত্যাগ করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) রাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হলরুমে তিনি পদত্যাগ করেন।

একটি কাগজে লিখিতভাবে চেয়ারম্যান বলেন, আমি কিশোর রায় চৌধুরী মনি। চেয়ারম্যান জুড়ী উপজেলা পরিষদ। আজ ১৫ আগস্ট ২০২৪ এ পদত্যাগ করলাম। ১৮ আগস্ট ২০২৪ এ অফিসিয়ালভাবে পদত্যাগপত্র সম্পন্ন করবো।

জুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাবলু সূত্রধর বলেন, বৃহস্পতিবার ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা এসেছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে নিয়ে। একই সঙ্গে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এসেছিল। এসময় জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও সহকারী কমিশনার উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের বক্তব্য ছিল উপজেলা চেয়ারম্যান পদত্যাগপত্র দেবেন। চেয়ারম্যান দুদিন সময় চেয়েছেন অফিসিয়ালি পদত্যাগের জন্য। আপাতত তিনি তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে লিখিতভাবে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, ওনার লিখিত বক্তব্য অনুযায়ী তিনি আজ বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করেছেন।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী মনি বলেন, আমি আমার বক্তব্য লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকতা ও ছাত্রদের সমন্বয়কদের কাছে উপস্থাপন করেছি। এ বিষয়ে মৌখিক আমার কোনো বক্তব্য নেই।

গত ৩ আগস্ট জুড়ীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মিছিলের শেষের দিকে শিক্ষার্থীদের ওপর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান। হামলায় আহত হন কয়েকজন শিক্ষার্থী।

এ ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী মনি নীরব ভূমিকা পালন করেন। পরদিন ৪ আগস্ট আক্রমণকারীরা জুড়ীতে শিক্ষার্থী ও কেউ আন্দোলনের প্রস্তুতি নিলে তাদের প্রতিহত করতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অবস্থান নেন। এতে নেতৃত্ব দেন জুড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী মনি এবং ভাইস চেয়ারম্যান জুয়েল আহমেদ (জুয়েল রানা)।

ওমর ফারুক নাঈম/জেডএইচ/জিকেএস