‘চরম বিপৎসীমার’ ওপরে ভারতের মনু নদীর পানি, ডুবছে মৌলভীবাজার
ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কায় রয়েছেন মৌলভীবাজারের তিন উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ
ভারতে মনু নদীর পানি ‘চরম বিপৎসীমার’ ওপর দিয়ে বইছে বলে জানিয়েছে দেশটির কৈলাশহর সাব ডিভিশন। মনুর উজানে এমন পানি বেড়ে যাওয়ায় ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কায় রয়েছেন মৌলভীবাজারের তিন উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ।
বুধবার (২১ আগস্ট) স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে ভারতের ঊনকুটি জেলার ডিএম জানিয়েছেন, কৈলাশহর সাব ডিভিশনে দুপুর ১টায় মনু নদীর পানি ২৫ দশমিক ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেখানে এক্সট্রিম ডেঞ্জার লেভেল ২৪ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার। তাই এখন মনু নদীর পানি চরম বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজারের মনু নদী সীমান্তের ওপারে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ধলই জেলায় দক্ষিণে উৎপন্ন হয়ে উত্তরমুখী ধারায় প্রবাহিত হয়ে একাধিক ছড়া ও উপনদীর সঙ্গে ত্রিপুরা রাজ্যের নতুন একটি জেলা ঊনকোটি জেলায় মিলিত হয়েছে। এরপর উত্তরমুখী পথে কৈলাশহরের পাশ দিয়ে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নে প্রবেশ করেছে। ত্রিপুরা রাজ্যে মনু নদীর পানি একতরফা নিয়ন্ত্রণের জন্য ত্রিপুরার নলকাটায় কাঞ্চনবাড়ি ও নলকাটার মাঝামাঝি এলাকায় নলকাটা বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। মৌলভীবাজারের মাতারকাপন এলাকায় মনু প্রকল্পের মনু ব্যারাজের মতো নলকাটা প্রকল্প। সেখানে ভারী বৃৃষ্টি হলেই প্রকল্পের স্লুইস গেট খুলে দেওয়া হয়। যে কারণে উজানের ঢলে প্লাবিত হয় মৌলভীবাজার জেলা।

মৌলভীবাজার জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, আজ বিকেল ৩টায় মনু নদী রেলওয়ে ব্রিজ পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ১১৮ সেন্টিমিটার, চাঁদনীঘাট ব্রিজ পয়েন্টে ৮০ সেন্টিমিটার, ধলাই নদীর পানি রেলওয়ে ব্রিজ পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার, কুশিয়ারা নদীর পানি শেরপুরে ৩ সেন্টিমিটার এবং জুড়ীর নদীর পানি ভবানীপুরে বিপৎসীমার ১৭৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জাবেদ ইকবাল বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের ত্রিপুরায় বৃষ্টি হওয়ায় নদ-নদীতে পানি বেড়েছে। জেলার অনেক জায়গায় বন্যা দেখা দিয়েছে।
এসআর/জিকেএস