ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

নৌকাবাইচ দেখতে কুমার নদের দুই পাড়ে মানুষের ঢল

জেলা প্রতিনিধি | ফরিদপুর | প্রকাশিত: ০৫:০২ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ফরিদপুরের কুমার নদে নৌকাবাইচ দেখতে মানুষের ঢল নেমেছে। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নদীর দুই পাড়ে হাজার হাজার মানুষ উৎসবে মেতে ওঠে।

সরেজমিনে দেখা যায়, নৌকাবাইচকে কেন্দ্র করে নদীর দুই পাড়ে মেলা বসে। মেলায় নানা রকমের মিষ্টি, ইলিশসহ বিভিন্ন ধরনের মাছ, খেলনা ও খাবারের দোকানের পসরা নিয়ে বসেন দোকানিরা।

নৌকাবাইচ দেখতে কুমার নদের দুই পাড়ে মানুষের ঢল

নৌকাবাইচ দেখতে আসা গৃহবধূ নিপা পারভিন বলেন, প্রতি বছরে এ কুমার নদে নৌকাবাইচ ও গ্রামীণ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এদিনের জন্য সারাবছর এ অঞ্চলের মানুষ অপেক্ষায় থাকে। মেয়েরা জামাই নিয়ে বাবার বাড়িতে আসেন। প্রতিবারের মতো স্বামী-সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে নৌকাবাইচ দেখতে এসেছি। বাইচ দেখা শেষে মেলায় ঘুরেছি, অনেক কিছু কেনাকাটা করেছি।

মেলায় আগত নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাসরিন পারভিন জানান, বান্ধবীদের নিয়ে নৌকাবাইচ দেখেছি। মেলায় ঘুরেছি। অনেক কিছু কিনেছি। খাবার খেয়েছি, অনেক ভালো লেগেছে।

মেলা আসা মিষ্টি ব্যবসায়ী অনিল সাহা বলেন, প্রায় চল্লিশ বছর ধরে এ নৌকাবাইচের মেলায় মিষ্টি বিক্রি করছি। এবারও মেলায় দোকান দিয়েছি। দোকানে রসগোল্লা, আমৃত্তি, দানাদার, জিলাপিসহ বিভিন্ন মিষ্টি রয়েছে। বেচাকেনাও বেশ ভালো হচ্ছে।

খেলনা বিক্রেতা আলম মোল্লা জাগো নিউজকে বলেন, নানা ধরনের খেলনা নিয়ে মেলায় এসেছি। ভালো বেচাকেনা হচ্ছে। তিন দিন থাকবো এখানে।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. সজল শরীফ জাগো নিউজকে বলেন, জন্মের পর থেকে দেখে আসছি নৌকাবাইচ ও মেলা। প্রতিবছর নৌকাবাইচ উপলক্ষে কাছে-দূরের হাজারো মানুষের ঢল নামে। এবারও বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটেছে। এবার ছোট-বড় মিলিয়ে ১০-১২টি নৌকা বাইচে অংশ নেয়।

নৌকাবাইচ দেখতে কুমার নদের দুই পাড়ে মানুষের ঢল

নৌকাবাইচ ও মেলা আয়োজক কমিটির সভাপতি ও শেখর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রইসুল ইসলাম পলাশ মিয়া বলেন, এ বছর দিয়ে ১২৪তম নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হলো। ঐতিহ্য ধরে রাখতে এ আয়োজন করা হয়। জেলা-উপজেলা ছাড়াও আশপাশের বিভিন্ন জেলার মানুষ এ নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা দেখতে অংশ নেয়।

এ বিষয়ে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রসুল জানান, নৌকাবাইচ ও মেলা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ সদস্যরা কাজ করছে।

এন কেবি নয়ন/আরএইচ/জিকেএস