ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

রাজশাহী

আগাম মুকুলে স্বপ্ন দেখছেন রাজশাহীর আম চাষিরা

জেলা প্রতিনিধি | রাজশাহী | প্রকাশিত: ০৫:২৪ পিএম, ২১ জানুয়ারি ২০২৫

মুকুলে মুকুলে ভরে উঠছে রাজশাহীর আমবাগান। আগাম মুকুলে ভালো ফলনের স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা। তবে আনন্দের মাঝে ঘনকুয়াশায় মুকুল নষ্টের শঙ্কাও রয়েছে। যদিও মুকুল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা কম বলছেন কৃষি বিভাগ।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মতে, কুয়াশার পর রোদ থাকায় নষ্টের পরিবর্তে মুকুল আরও সতেজ হবে। এজন্য কিছু ছত্রাক জাতীয় কীটনাশক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

আগাম মুকুলে স্বপ্ন দেখছেন রাজশাহীর আম চাষীরা

রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, এ বছর রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও নাটোর জেলায় ৯৩ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে আমচাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে আনুমানিক প্রায় সাড়ে ১২ লাখ টন। এরমধ্যে রাজশাহী জেলায় ১৭ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে। গত বছর এ অঞ্চলে মোট ১২ লাখ ৭ হাজার ২৬৩ টন আম উৎপাদন হয়।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, রাজশাহীর চারঘাট ও বাঘা উপজেলায় আমের আগাম মুকুল এসেছে। চারঘাট উপজেলার নিমপাড়া, ভায়ালক্ষিপুর, চারঘাট সদর, সারদা ও শলুয়া এবং বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম, বাউসা, গড়গড়িয়া ইউনিয়নের অনেকের বাগানে আগাম মুকুল এসেছে।

চারঘাট উপজেলার নিমপাড়া ইউনিয়নের কালুহাটি গ্রামের আমচাষি বাহাদুর রহমান বলেন, গত দুই বছর মুকুল আসেনি। এবার আগেভাগেই এসেছে। কুয়াশায় মুকুল নষ্ট না হলে ব্যাপক ফলন হবে।

আমচাষি ও ব্যবসায়ী শামসুল হক বলেন, কিছু কিছু গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। আর ১০ দিন গেলে পুরো বাগানেই মুকুল ফুটে উঠবে। বাগানের আগাছা পরিষ্কারসহ পোকা দমনে কীটনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। এতে পোকা যেমন দূর হবে, তেমনি গাছে স্বাস্থ্যকর মুকুল দেখা দেবে।

আগাম মুকুলে স্বপ্ন দেখছেন রাজশাহীর আম চাষীরা

রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, এবার বেশ আগাম মুকুল এসেছে। গত বছর যেহেতু কম মুকুল এসেছে এবার বেশি মুকুল হবে বলে আশা করছি।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক উম্মে সালমা বলেন, মুকুল আসতে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় লেগে যাবে। যেসব গাছে মুকুল এসেছে সেগুলো আগাম জাতের। চাষিদের বাগান পরিচর্যা ওষুধ স্প্রে করার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। চাষিরাও অধিক ফলনের আশায় কাজ করছেন।

তিনি আরও বলেন, গতবছরের তুলনায় এবার মুকুল বেশি আসবে বলে মনে হচ্ছে। কুয়াশায়ও তেমন ক্ষতি হবে না। ফলে এবার লক্ষ্যমাত্রা পূরণের সম্ভাবনা অনেক বেশি।

সাখাওয়াত হোসেন/এএইচ/জিকেএস