ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

নরসিংদীতে পুলিশ হেফাজতে যুবকের মৃত্যু

প্রকাশিত: ১২:২৫ পিএম, ১৯ মে ২০১৬

নরসিংদীতে গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে দ্বীন ইসলাম (২৫) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মোটা অঙ্কের টাকা না দেয়ায় তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের মা।

পুলিশের দাবি, নিহত যুবক একাধিক ডাকাতি ও হত্যার সঙ্গে জড়িত। গ্রেফতারের সময় পালাতে গিয়ে গণপিটুনিতে আহত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে তার। জব্দ করা হয়েছে ডাকাতির মালামাল।
 
নিহত দ্বীন ইসলাম শহরের ভেলানগর এলাকার মৃত আবদুর রহমানের ছেলে। সে নরসিংদীর কেকেএম বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের টিফিন সরবরাহকারীর কাজ করতো।

পুলিশ জানিয়েছে, শহরের বিলাসদী এলাকায় একটি বাসায় ডাকাতির ঘটনায় তাকে গ্রেফতার করার সময় সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় আশেপাশের মানুষ তাকে ধরে গণপিটুনি দেয়। পরে জনগণ তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। পরে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। জ্ঞান হারানোর পর তাকে দ্রুত জেলা হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
 
নিহতের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভোরে ফজরের নামাজের পর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল দ্বীন ইসলামের বাড়িতে হানা দেয়। তারা ঘুমন্ত দ্বীন ইসলামকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে যায়। কিন্তু স্বজনরা গোয়েন্দ পুলিশ কার্যালয়ে দ্বীন ইসলামের খোঁজ করতে গিয়ে তার সাক্ষাৎ পায়নি। পরে দুপুরে স্বজনরা খবর পায় দ্বীন ইসলাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।

হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, দ্বীন ইসলামের মৃত্যুকে ঘিরে স্বজনদের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক পুলিশ হাসপাতালে অবস্থান নিয়েছে। ছেলের মৃত্যুর খবরে মা সাবিহা বেগম বুক চাপড়ে আত্মনাদ করছে। তার সঙ্গে কাঁদছে স্বজনরা। কিন্তু স্বজনরা নিহতের লাশ দেখতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।

সাংবাদিকদের কাছে নিহতের মা সাবিহা বেগম বলেন, গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল কথা বলার জন্য দ্বীন ইসলামের সঙ্গে দেখা করতে চায়। আমি তাকে ঘুম থেকে ডেকে দিয়েছে। কিন্তু তাকে ধরে নেয়ার সময় কারণ জানতে চাইলে পুলিশ জানায়, টাকা নিয়ে আস, না হলে রাইফেল দিয়ে গুলি করবো। পরে বেলা আড়াইটার দিকে খবর পাই, আমার ছেলে মারা গেছে।

নিহতের চাচী পিয়ারা বেগম বলেন, দ্বীন ইসলামকে ধরে নেয়ার সময় পুলিশ বলেছে, ৫ লাখ টাকা দিলে তাকে ছেড়ে দিব। তাকে নির্যাতন করে পুলিশ মাইর্যা ফেলাইছে। আমরা এই হত্যার বিচার চাই।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, নিহত দ্বীন ইসলাম শিবপুরের বাপ্পী হত্যাসহ একাধিক ডাকাতি মামলার আসামি। অন্যান্য ডাকাতদের একত্রিত করে সে রাতে নরসিংদী শহরের বিভিন্ন বাসায় ডাকাতি চালায়।

বিকে সাহা/এমএএস/আরআইপি