ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

যেভাবে খোঁজ মিললো মোহাম্মদপুর থেকে নিখোঁজ কিশোরীর

জেলা প্রতিনিধি | নওগাঁ | প্রকাশিত: ০৬:২৬ পিএম, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে নিখোঁজ কিশোরী ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী (১১)। টিকটকে পরিচয় হয় মমিন (২২) নামের এক তরুণের সঙ্গে। মমিন পেশায় একজন কাপড়ের দোকানের শ্রমিক। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে তার সঙ্গে পলায় ওই কিশোরী।

এ পলায়নের সিসিটিভির একটি ফুটেজকে ঘিরে তোলপাড় শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। পুরো ঘটনাটিকে ‘অপহরণ’ দাবি করে মেয়েটির পরিবার।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় নওগাঁ শহরের আরজী নওগাঁ মহল্লার একটি বাসায় র‌্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়। এর আগে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে পালিয়ে যায় সে। পুলিশের দাবি, মমিনের সঙ্গে প্রেমঘটিত সম্পর্ক ছিল তার।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, বরিশালের বাকেরগঞ্জ এলাকার একটি বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে মেয়েটি। সেখানে মমিন (২২) নামের এক তরুণের সঙ্গে টিকটকে তার পরিচয় হয়। সেখান থেকেই দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মমিন ঢাকার গুলিস্তানে একটি কাপড়ের দোকানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।

সম্প্রতি মায়ের অসুস্থতাজনিত কারণে মেয়েটি ঢাকায় এলে তার সঙ্গে দেখা করেন মমিন। পরে রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) তারা রাতে একটি বাসে নওগাঁর পথে রওয়ানা হন। পরদিন ভোর ৬টায় তারা নওগাঁয় পৌঁছান।

ওসি আরও জানান, নওগাঁয় আসার পর মমিনের পারিবারিক অবস্থার বিষয়ে জানতে পারে মেয়েটি। সে জানতে পারে, মমিনের বাবা একটি মুরগির খামারের নৈশপ্রহরী। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই মমিনের বাড়ি শহরের আরজী নওগাঁ মহল্লায় তারা দুজনে অবস্থান করছিলেন। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তার বুধবার বেলা ১১টায় তাদের অবস্থান নিশ্চিত হওয়া যায়। এ অবস্থায় মেয়েটিকে সেখান থেকে নিয়ে সটকে পড়েন মমিন।

পরে মমিনের পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। একপর্যায়ে মমিনের এক প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় মেয়েটিকে। তবে মমিন পলাতক থাকায় তাকে আটক করা যায়নি।

সুবাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া কী হবে, জানতে চাইলে ওসি নূরে আলম বলেন, মেয়েটিকে উদ্ধারের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে নওগাঁ থেকে র‌্যাব নিজ হেফাজতে নিয়ে গেছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনগত প্রক্রিয়ায় তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

আরমান হোসেন রুমন/এসআর/এমএস