ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

পতনের বাজারে আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের চমক

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:১৮ পিএম, ০১ নভেম্বর ২০২৫

গত সপ্তাহে দেশের শেয়ারবাজারে দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। এই পতনের বাজারে দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখিয়েছে আনোয়ার গ্যালভানাইজিং লিমিটেড। পাঁচ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দাম প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়ে গেছে। এতে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম বাড়ার শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে এই প্রতিষ্ঠানটি।

শেয়ারের এমন দাম বাড়লেও লোকসানে পতিত হওয়ায় চলতি বছরের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ বিনিয়োগকারীদের কোনো ধরনের লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত ২৭ অক্টোবর ডিএসইর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের এ লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য জানানো হয়।

বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত আসার পরও কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েই চলেছে। গত সপ্তাহের লেনদেনের শুরুতে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ৬৩ টাকা ২০ পয়সা। সেখান থেকে বেড়ে সপ্তাহ শেষে ৯৩ টাকা ৯০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে ৩০ টাকা ৭০ পয়সা বা ৪৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ। এতে এক সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ার দাম সম্মিলিতভাবে বেড়েছে ৯২ কোটি ৬৭ লাখ ৪৩ হাজার টাকা।

কোম্পানিটির শেয়ারের এই দাম বাড়ার প্রবণতা চলছে গত ১৯ অক্টোবরের পর থেকেই। ১৯ অক্টোবর কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ৫৬ টাকা ৮০ পয়সা। অর্থাৎ ৯ কার্যদিবসে প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে ৩৭ টাকা ১০ পয়সা। এতে নয় কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দাম সম্মিলিতভাবে বেড়েছে ১১১ কোটি ৯৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

শেয়ারের এমন দাম বাড়লেও চলতি বছরের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি ১২ টাকা ৩২ পয়সা লোকসান করেছে। এ কারণে সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের কোনো ধরনের লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসের ব্যবসায় শেয়ার প্রতি ২ টাকা ৮৬ পয়সা মুনাফা করেছে।

এদিকে কোম্পানিটির লভ্যাংশের অতিত ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ২০২৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়। তার আগে ২০২৩ সালে ১০ শতাংশ নগদ, ২০২২ সালে ২০ শতাংশ নগদ ও ৮০ শতাংশ বোনাস শেয়ার, ২০২১ সালে ২০ লভ্যাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার এবং ২০২০ সালে ১০ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি।

১৯৯৬ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ৩ কোটি ১ লাখ ৮৭ হাজার ৮০টি। এর মধ্যে ৩৫ দশমিক ৩২ শতাংশ শেয়ার আছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে। বাকি শেয়ারের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪৭ দশমিক ৬২ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৭ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ শেয়ার আছে।

আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের পরে গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের পছন্দের তালিকায় ছিল সিএপিএম বিডিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড। সপ্তাহজুড়ে এই ফান্ডটির ইউনিটের দাম বেড়েছে ২৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ। ২৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ দাম বাড়ার মাধ্যমে পরের স্থানে রয়েছে পেনিনসুলা চিটাগাং।

এছাড়া গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা শাহিনপুকুর সিরামিকের ১৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলের ১৪ দশমিক ৫১ শতাংশ, হাক্কানী পাল্পের ১৪ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ, বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ারের ১৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ, রানার অটোমোবাইলের ১৩ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ এবং স্যালভো কেমিক্যালের ১২ দশমিক ৬৩ শতাংশ দাম বেড়েছে।

এমএএস/এমএমকে/এএসএম