ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

শেষের টানে বাড়লো সূচক, কমেছে লেনদেন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:৪৪ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫

সপ্তাহের শেষে কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) লেনদেনের শুরুতে দেশের শেয়ারবাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা গেলেও শেষ পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখিতার মাধ্যমে লেনদেন শেষে হয়েছে।

প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। ফলে বেড়েছে মূল্যসূচক। মূলত লেনদেনের শেষদিকে শেয়ারের ক্রেতা বাড়ায় এই ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলেছে।

এদিনে ডিএসইতে লেনদেন শুরুর অল্প সময়ের মধ্যে দাম কমার তালিকায় চলে যায় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। ফলে লেনদেনের শুরুরদিকে সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যায়। তবে দুপুর ১টার পর বাজারে বিক্রির চাপ কমে এবং ক্রেতাদের আধিক্য দেখা দেয়। এতে দাম কমার তালিকা থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান বেরিয়ে আসে। ফলে দাম বাড়ার তালিকা বড় হওয়ার পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচক বেড়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়েছে।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ২৬২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৪টির। আর ৬৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৪৪টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে ৩৬টির দাম কমেছে এবং ৩৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মাঝারি মানের বা ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেওয়া ৭০টি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে ৩টির দাম কমেছে এবং ৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়ার কারণে ‘জেড’ গ্রুপে স্থান হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৪৮টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৫টির এবং ২৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আর তালিকাভুক্ত ৩৫টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ১১টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে ৩টির দাম কমেছে এবং ২১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২১ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৯৬৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯০৩ পয়েন্টে উঠে এসেছে।

সবকটি মূল্যসূচক বাড়লেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৬৩ কোটি ৭৬ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫৩৩ কোটি ৯০ টাকা। এ হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ৭০ কোটি ১৪ লাখ টাকা।

এই লেনদেনে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৫ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার। ১১ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মুন্নু ফেব্রিক্স।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বিডি থাই ফুড, ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং, একমি পেস্টিসাইড, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, লাভেলো আইসক্রিম, খান ব্রদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ এবং এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ।

অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ২০ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৬১ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮৬টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪৪টির এবং ৩১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা।

এমএএস/ইএ