রাবনাবাদ নদীর ওপর হবে সেতু, ব্যয় ১৬৪ কোটি টাকা
পটুয়াখালীর রাবনাবাদ নদী/ফাইল ছবি
পটুয়াখালী সড়ক বিভাগের অধীনে রাবনাবাদ নদীর ওপর ৮৮২ দশমিক ৮১ মিটার দীর্ঘ ‘রাবনাবাদ সেতু’ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ১৬৪ কোটি ৪ লাখ ৮২ হাজার ১৫৮ টাকা।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সেতু নির্মাণের পূর্ত কাজের ব্যয় অনুমোন দেওয়া হয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ‘লেবুখালী-বাউফল-গলাচিপা-আমড়াগাছিয়া জেলা মহাসড়কের রাবনাবাদ নদীর উপর ৮৮২.৮১ মিটার দীর্ঘ ‘রাবনাবাদ সেতু’ নির্মাণের’ পূর্ত কাজ কেনার জন্য এক ধাপ দুই খাম দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে দুটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। দুটি দর প্রস্তাবই কারিগরিভাবে রেসপনসিভ বিবেচিত হয়।
দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি’র সুপারিশে রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে এম এম বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড, এম/এস জন্মভূমি নির্মাতা এবং ওহিদুজ্জামান চৌধুরীর কাছ থেকে ১৬৪ কোটি ৪ লাখ ৮২ হাজার ১৫৮ টাকায় প্রকল্পের বর্ণিত প্যাকেজের পূর্ত কাজ কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রকল্পটি একনেক থেকে অনুমোদিত হয় ২০২২ সালের ২২ নভেম্বর। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৩ সালের ১ আগস্ট থেকে ২০২৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্যাকেজের আওতায় রয়েছে- রাবনাবাদ নদীর ওপর ৮৮২.৮১ মিটার দীর্ঘ রাবনাবাদ সেতু নির্মাণ (১৮×৪২.৬৮ মিটার পিসি গার্ডার + ১×১০০ মিটার স্টিল BUG ট্রাস), ১.৪ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক, কালভার্ট, আন্ডারপাস, প্রতিরক্ষামূলক কাজ, টোল প্লাজা ও আলোকসজ্জা।
বৈঠকে স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় এফডিএমএন জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের একটি প্যাকেজের পূর্ত কাজের জন্য ৩৬৩ কোটি টাকা ব্যয় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে বিশ্বব্যাংক।
প্রকল্পের একটি প্যাকেজের (এইচইএলপি/ইউএন-১) পূর্ত কাজ সম্পাদনের জন্য ইউএন এজেন্সি আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাকে (আইওএম) দরপ্রস্তাব দাখিলের জন্য আহ্বান করা হলে প্রস্তাব দাখিল করে।
প্রস্তাবটি কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হওয়ায় নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে নির্ধারিত প্যাকেজের সম্পাদনযোগ্য ইউএন এজেন্সি আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার মাধ্যমে ৩৬৩ কোটি টাকায় সম্পাদনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ‘কুমিল্লা-লালমাই-চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর-বেগমগঞ্জ এবং বেগমগঞ্জ-সোনাইমুড়ী-রামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণ’ প্রকল্পের প্যাকেজ নং-ডব্লিউপি-০২ এর পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৫৬ কোটি ৪২ লাখ ৬০ হাজার ১২৯ টাকা।
জানা গেছে, এ প্যাকেজের পূর্ত কাজ ক্রয়ের জন্য এক ধাপ দুই খাম দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৬টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। তার মধ্যে ৪টি প্রস্তাব কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশে রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে এমএএইচ কনস্ট্রাকশন লিমিটেড এবং রহমান ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের কাছ থেকে ১৫৬ কোটি ৪২ লাখ ৬০ হাজার ১২৯ টাকায় পূর্ত কাজ ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের পৃথক একটি প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ‘কুমিল্লা সড়ক বিভাগাধীন ৪টি জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও উন্নীতকরণ’ প্রকল্পের প্যাকেজ নং-ডব্লিউডি-০৩ এর পূর্ত কাজের ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১২৯ কোটি ৪০ লাখ ৭৩ হাজার ৯০২ টাকা।
জানা গেছে, ডব্লিউডি-০৩ প্যাকেজের পূর্ত কাজ ক্রয়ের জন্য এক ধাপ দুই খাম দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে দুটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। দুটি দরপ্রস্তাবই কারিগরিভাবে রেসপনসিভ বিবেচিত হয়।
দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশে রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান শামিম এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লিমিটেড এবং ইউডিসি কনস্ট্রাকশন লিমিটেড কনসোর্টিয়াম থেকে কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এমএএস/এমকেআর/এএসএম