ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

অবরোধে আমদানি-রফতানিতে নেতিবাচক প্রভাব

প্রকাশিত: ০৭:৪৩ এএম, ০৮ জানুয়ারি ২০১৫

বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের টানা অবরোধে প্রভাব পড়েছে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে। অবরোধের কারণে পোশাক শিল্পে উৎপাদন কমে যাওয়ার পাশাপাশি ঝুঁকিতে পড়েছে পণ্যের শিপমেন্টও।

অন্যদিকে আমদানি করা পণ্য বিক্রি ও সরবরাহ কমে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। এ অবস্থায় দ্রুত অচলাবস্থা না কাটলে বিনিয়োগ কমে যাওয়ার পাশাপাশি সার্বিক অর্থনীতিতে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের।

২০১৩ সালের ধারাবাহিক রাজনৈতিক সহিংসতার সৃষ্ট ক্ষয়-ক্ষতি না কাটতেই এক বছরের মাথায় আবার টানা অবরোধে শঙ্কিত ব্যবসায়ীরা। অবরোধে অনেক শ্রমিক কর্মস্থলে যেতে না পারায় কমে গেছে পোশাক শিল্পে উৎপাদন।

অন্যদিকে, মহাসড়কে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল কমে যাওয়ায় রফতানি পণ্য শিপমেন্টেও সমস্যায় হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে অর্ডার বাতিলের পাশাপাশি বিদেশী ক্রেতারা আবার এ দেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে বলে মনে করছেন পোশাক শিল্প মালিকরা।

বিজিএমইএ`র পরিচালক এম ওয়াহাব বলেন, বিদেশী ক্রেতারা আবারও আমাদেরকে অর্ডার না দিয়ে অন্যদেশে অর্ডার দিচ্ছে। এর ফলে পরবর্তী মাসগুলোতে আমাদের কারখানাগুলোতে কাজ থাকবে না এবং রপ্তানি কমে যাবে।

অবরোধে দেশের বৃহত্তম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জেও কমে গেছে বেচা-কেনা। ব্যবসায়ীদের দাবি এতে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছেন তারা।

খাতুনগঞ্জ ট্রেড এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ছগির আহমেদ বলেন, প্রতিদিন আমরা প্রায় তিনশ কোটি টাকার মতো ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। ব্যবসায়ী নেতাদের মতে রাজনৈতিক সহিংসতা অব্যাহত থাকলে পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ার পাশাপাশি মুখ থুবড়ে পড়বে শিল্পায়ন ও বিনিয়োগ ।

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, রাজনৈতিক সহিংসতা যদি অনির্দিষ্টকাল ধরে চলতে থাকে ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে। ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, শিল্পের কাঁচামাল পাওয়া যাবে না। ফলে শিল্প-কারখানা চালানো দুরূহ হয়ে পড়বে।