ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

শেষ দিনে ব্যাংকগুলোতে উপচেপড়া ভিড়

প্রকাশিত: ০৯:৫৬ এএম, ১৬ জুলাই ২০১৫

পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের আগে বৃহস্পতিবার শেষ কর্মদিবসে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে ছিল উপচেপড়া ভিড়। ঈদের আগে শেষ লেনদেন করতে টাকা তোলা ও জমা দেওয়ায় গ্রাহকদের দীর্ঘ লাইন ছিল ব্যাংকগুলোতে। ব্যস্ত সময় পার করছে ব্যাংকের কর্মকর্তারাও।

বৃহস্পতিবার বাণিজ্যিক এলাকা মতিঝিলে বিভিন্ন ব্যাংকের শাখাগুলোতে ঘুরে এ চিত্র লক্ষ্য করা গেছে।

ব্যাংকগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, প্রয়োজনীয় লেনদেন সারতে টাকা উত্তোলন ও জমা দেওয়ার পাশাপাশি নতুন টাকার নিতেও গ্রাহকদের কাউন্টারের সামনে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

সোনালী ব্যাংকের লোকাল অফিসের জেনারেল ম্যানেজার ফনীন্দ্র ত্রিবেদী জাগো নিউজকে বলেন,  ছুটির কারণে গ্রাহকরা প্রয়োজনীয় লেনদেন সেরে নিচ্ছে। তাই লেনদেন হয়েছে স্বাভাবিক দিনের তুলনায় তিন থেকে চার গুণ বেশি। এবার গ্রাহকদের সুবিধার্থে তিনটি অতিরিক্ত ক্যাশ কাউন্টার খোলা হয়েছে। তারপরও গ্রাহকদের সামলাতে কর্মকর্তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। বড় অংকের লেনদেনের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে নিস্পত্তি করছি। তবে এবার টাকার সমস্যা নেই। গ্রাহকের চাহিদা মত পরিশোধ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, এবার নতুন টাকার চাহিদা অন্যান্য বছরের চেয়ে বেশি। সব গ্রাহকই নতুন টাকা চায়। সবাইকে টাকা দেওয়া সম্ভব কি? বাংলাদেশ ব্যাংক আমাদের নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা সরবরাহ করছে। কিন্তু তার চেয়ে গ্রাহকের চাহিদা কয়েকগুণ বেশি।

উত্তরা ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় টাকা তুলতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী আক্তারুজ্জাম জাগো নিউজকে বলেন, আজ রাতে গ্রামের বাড়ি যাবো। নগদ টাকার প্রয়োজন তাই টাকা তুলতে এসেছি। অন্যান্য দিনের তুলনায় আজকে প্রচুর ভিড়। এক ঘণ্টা যাবৎ দাঁড়িয়ে আছি।

দিলকুশায় ন্যাশনাল ব্যাংকের এক শাখা কর্মকর্তা জানান, সকাল থেকেই গ্রাহকের দীর্ঘ লাইন। দম ফেলানোর কোনো সময় নেই। টাকা জমা দেওয়ার চেয়ে উত্তোলনের পরিমাণ বেশি। গত কয়েক বছরের মতো এবারও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে যথেষ্ট পরিমাণ তারল্য রয়েছে। তাই নগদ অর্থ লেনদেনে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।

উত্তরা ব্যাংকের মতিঝিল স্থায়ী শাখায় গ্রাহকদের ভিড়ে শাখার ভিতরে জায়গা না হওয়ায় বাহিরে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

এদিকে ঈদের সেলামি দিতে টাকা লেনদেনের সঙ্গে নতুন টাকা সংগ্রহরে জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে ভিড় করতে দেখা গেছে অনেক গ্রাহককে। ঈদে প্রিয়জন, বিশেষ করে শিশুদের হাতে নতুন টাকা তুলে দিতে গ্রাহকের এই আগ্রহ।

উল্লেখ্য, ঈদ উপলক্ষে এবার ২২ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট ছেড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২ জুলাই থেকে নতুন নোটের বিতরণ শুরু হয়েছে। যা চলবে ১৬ জুলাই পর্যন্ত। বাংলাদেশ ব্যাংকের ৯টি অফিসসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের নির্ধারিত শাখায় এ নতুন টাকা পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একজন সাধারণ মানুষ সাড়ে ৯ হাজার টাকা পর্যন্ত সংগ্রহ করতে পারেন। তবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো নিজেরাই সীমা নির্ধারণ করে।

এসআই/এআরএস/পিআর