ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

ভ্যাট ফাঁকি রোধে তৎপর অধিদফতর

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:৩৫ পিএম, ২৬ জানুয়ারি ২০১৮

বাণিজ্য মেলার শুরু থেকে ভ্যাট ফাঁকি রোধে তৎপর জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। মেলায় ক্রেতাদের কাছ থেকে ভ্যাটের কথা বলে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে কিন্তু তা সরকারি কোষাগারে জমা দিচ্ছে না- এমন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে অধিদফতর।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের পরিচালক সৈয়দ তওহিদুর রহমান।

তিনি বলেন, জনগণের কাছ থেকে প্রতিষ্ঠানগুলো ভ্যাট আদায় করছে। সেই ভ্যাটের অর্থ সরকারি কোষাগারে ঠিকমতো জমা হচ্ছে কিনা- তা নিশ্চিত করতে আমরা অভিযানে নেমেছি। মেলায় অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলো পণ্য বিক্রি করে ভ্যাট আদায় করছে। সেটি সঠিকভাবে জমা না দিলে তারা লাভবান হবে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে সরকার।
তওহিদুর রহমান বলেন, আমরা মেলায় অংশগ্রহণ করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রথমে থেকে এ বিষয়ে সতর্ক করেছি। মৌখিকভাবে তাদের এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। এছাড়া ক্রেতাদের ভ্যাট পরিশোধের কপি সংগ্রহ করতে মাইকিং করা হয়েছে।

‘প্রতি সপ্তাহের ট্রেজারি বিল ফাইল করে রাখতে স্টলগুলোকে বলা হয়েছে। সেগুলো আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবো। যেসব প্রতিষ্ঠান ভ্যাট পরিশোধের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে পারবে না তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে’- যোগ করেন তিনি।

vat

‘ভ্যাট আদায়ে এনবিআর (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) আছে; তাহলে আপনারা কেন অভিযানে যাচ্ছেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে অধিদফতরের এ পরিচালক বলেন, আমরা সবসময় ভোক্তার স্বার্থ দেখি। ভোক্তার কাছ থেকে ভ্যাটের টাকা নিয়ে যদি কোনো প্রতিষ্ঠান তা সরকারি খাতে জমা না দেয় তাহলে এটা এক ধরনের প্রতারণা। মেলায় অধিদফতরের একটি অস্থায়ী কার্যালয় রযেছে। সেখান থেকে অভিযান পরিচালনা হবে। আমাদের কর্মকর্তারা পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন। ভোক্তা সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।

সায়মা জাহান নামে মেলায় আসা এক ক্রেতা বলেন, আমাদের কাছ থেকে টাকা নেবে কিন্তু সরকারকে দেবে না- এমন প্রতারণা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা এ অভিযানকে স্বাগত জানাই।

মেলা ঘুরে দেখা যায়, ছোট-বড় বিভিন্ন গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ক্রেতাদের কাছ থেকে ভ্যাট আদায় করছে। ক্লাসিক লুকের বাহারি পোশাক স্যুট, কোট-ব্লেজার, শার্ট-প্যান্ট এনেছে ‘ওকোড’ ব্র্যান্ড। ‘ভ্যাটের টাকা নিয়ে ক্রেতার সঙ্গে প্রায়ই বাকবিতণ্ডা হয়’ উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠানটির এক বিক্রয় কর্মকর্তা বলেন, ‘অনেক ক্রেতা ভ্যাটের টাকা দিতে চান না। কিন্তু আমরা প্রতিটি পণ্যের মূল্যের সঙ্গে ভ্যাট কেটে রাখছি এবং তা সরকারি কোষাগারে জমা দিচ্ছি। এতে প্রতারণা বা লুকোচুরির কোনো সুযোগ নেই।’

নিয়মিত অভিযানে ভ্যাট গোয়েন্দারা

ভ্যাট ফাঁকি রোধ, জনসচেতনতা তৈরি এবং ব্যবসায়ীরা যথাযথভাবে ভ্যাট পরিশোধ করছেন কিনা- সেটা পর্যবেক্ষণের জন্য ভ্যাট গোয়েন্দাদের পাঁচটি দল নিয়মিত বাণিজ্য মেলায় অভিযান চালাচ্ছে।

এসআই/এমএআর/এমআরএম/আইআই

আরও পড়ুন