বাণিজ্যমেলায় ইরানি মেলামাইনে চলছে ১০ শতাংশ ছাড়
চলছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার ২৭তম আসর। মেলার শুরুর দিকে ক্রেতা দর্শনার্থীদের তেমন ভিড় না থাকলেও শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে বাণিজ্যমেলা। এবারের মেলায় মেলামাইনে পণ্য থেকে শুরু করে নানা ধরনের পণ্যসামগ্রী শোভা পেয়েছে।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার ইরানি মেলামাইন প্যাভিলিয়নে সরেজমিনে এমনই চিত্র চোখে পড়ে।
মেলা উপলক্ষে এসব স্টলগুলোতে চলছে নানা ছাড়। এদিকে ইরানি মেলামাইনের প্রত্যেকটি পণ্যে চলছে আকর্ষণীয় অফার। ফলে এসব পণ্য কিনতে ক্রেতারা স্টলটিতে ভিড় জমাচ্ছেন।
জানা গেছে, মেলা উপলক্ষে ইরানি মেলামাইনের নানা পণ্যে ১০ শতাংশ ছাড় চলছে। এগুলোর মধ্যে ছাড় দিয়ে রাইস বোল ৫৮০ টাকা, মিট বোল ৩৫০ টাকা, রোস্ট বোল ৩৫০ টাকা, চামচ ৮০ টাকা, প্লেট ২০০ টাকা, পিরিচ ৮০ টাকা, ছোট বাটি ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আফরিন জাহান তমা নামে এক ক্রেতা জানান, সবসময় দেশি মেলামাইনের তৈরি পণ্য ব্যবহার করি। বাণিজ্যমেলায় এসে ইরানি মেলামাইনের তৈরি পণ্য দেখতে পাই। তাদের তৈরি পণ্যগুলো খুবই সুন্দর ও আকর্ষণীয়। এবার আমি রোস্টের বোল কিনেছি।
রায়হানুল ইসলাম রাহাত নামে এক ক্রেতা জানান, এ বছর বাণিজ্যমেলায় একদম শেষ সময়ে স্বপরিবারে কেনাকাটা করতে এসেছি। ইরানি মেলামাইন স্টলটির পণ্যগুলো খুব আকর্ষণীয় মনে হয়েছে। সেজন্য আমি এখান থেকে কয়েকটি পণ্য কিনলাম।
স্টলটির ইনচার্জ মো. হেলাল জানান, বাণিজ্যমেলায় আমাদের ইরানি মেলামাইনের স্টলে প্রতিদিনই প্রচুর ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা ভিড় জমাচ্ছেন। মেলার শুরুর দিকে থেকে তেমন ক্রেতা ও দর্শনার্থী না দেখা গেলেও মাসব্যাপী মেলার শেষ দশ দিনে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় রয়েছে আমাদের স্টলে। আশা করছি, এবার ভালো কেনাবেচা করা হবে।
এবারের মেলায় বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, হংকং, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, নেপালসহ ১২টি দেশের ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছেন। মেলায় ১৭টি বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। মেলায় দেশ-বিদেশের মোট ৩৩১টি স্টল, প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন রয়েছে। গতবার এই সংখ্যা ছিল ২২৫টি।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে বাণিজ্যমেলা। তবে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে। এবারে মেলার প্রবেশ মূল্য প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ৪০ টাকা এবং অপ্রাপ্ত বয়ষ্কদের জন্য ২০ টাকা। অনলাইনে ৫০ শতাংশ ডিসকাউন্টে মেলার টিকিট কেনা যাবে।
এমআরএম/জিকেএস