ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

ডিএসই‘র নতুন অটোমেডেট সফটওয়্যার চালু

প্রকাশিত: ০৬:২০ এএম, ১১ ডিসেম্বর ২০১৪

লেনদেন প্রক্রিয়া সহজ করতে নতুন অটোমেডেট সফটওয়ার চালু করেছে দেশের প্রধান পুজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ। বৃহস্পতিবার সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত ডিএসই’র নেক্সট জেনারেশন অটোমেটেড ট্রেডিং সিস্টেম এর উদ্বোধন করা হয়। সরকারের অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান এর উদ্বোধন করলেন।

জানা গেছে, নতুন স্বয়ংক্রিয় লেনদেন ব্যবস্থা চালু করার লক্ষ্যে ২৪ নভেম্বর থেকে ডিএসইর ব্রোকারেজ হাউসগুলোর প্রায় ৪০০টি ট্রেডিং ওয়ার্ক স্টেশন থেকে একযোগে পরীক্ষামূলক লেনদেন (মক ট্রেডিং) চালু করে। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। পরীক্ষামূলক লেনদেনে যে সব ত্রুটি-বিচ্যুতি ধরা পড়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান করা হয়েছে। ফলে নতুন এ প্রক্রিয়া সফলভাবে উদ্বোধন করা সম্ভব হবে বলে মনে করে ডিএসই কর্তৃপক্ষ। ডিএসইতে নতুন এ ব্যবস্থা চালু হলে দীর্ঘ দিনের লট প্রথা বাতিল হয়ে যাবে।

এর আগে গত ২১ মার্চ অটোমেটেড ট্রেডিং প্লাটফর্ম চালুর জন্য নাসডাক ওএমএক্স ও ফ্লেক্সট্রেড সিস্টেমসের সঙ্গে চুক্তি সই করে ডিএসই। ফলে নয় মাসের মধ্যে আধুনিক প্রযুক্তির অটোমেটেড ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম চালু করবে ডিএসই।

নতুন স্বয়ংক্রিয় লেনদেন ব্যবস্থার মধ্যে নাসডাক ওএমএক্স সরবরাহ করছে ম্যাচিং ইঞ্জিন ও ফ্লেক্সট্রেড সরবরাহ করছে অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ওএমএস)। নতুন অটোমেটেড ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে ডিএসই ট্রেকহোল্ডার প্রতিনিধি, সব ব্রোকিং হাউজের সব অনুমোদিত প্রতিনিধি, আইটি বিভাগের প্রধান এবং ক্রেডিট অ্যাডমিনিসট্রেটরদের ধারণা দিতে গত ৪ সেপ্টেম্বর প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্যোগ নেয় ডিএসই। যা তিন মাসব্যাপী পর্যায়ক্রমে চলে।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, নাসডাক ওএমএক্স ও ফ্লেক্সট্রেড ব্যবহারকারীদের (ব্রোকার এবং বিনিয়োগকারী) জন্য সহজ এবং নিরাপদ হবে। তবে নতুন ব্যবস্থায় কোনো বিনিয়োগকারী নিজ ব্রোকারেজ হাউসের যে কোনো অথরাইজড রিপ্রেজেন্টেটিভ বা শাখা থেকে শেয়ার কেনা-বেচা করতে পারবেন না। প্রত্যেক বিনিয়োগকারীর জন্য একটি ব্রোকারেজ হাউসের শাখা ও একজন বা একটি গ্রুপভুক্ত অথরাইজড রিপ্রেজেন্টেটিভ নির্দিষ্ট থাকবে। কোনো বিনিয়োগকারীকে ওই নির্দিষ্ট ব্রোকারেজ হাউস ও নির্দিষ্ট বা গ্রুপভুক্ত অথরাইজড রিপ্রেজেন্টেটিভের মাধ্যমে শেয়ার কেনা বা বেচার অর্ডার দিতে হবে। এতে একসঙ্গে অনেক কোম্পানির শেয়ারের ওঠানামা প্রত্যক্ষ করতে পারবেন তারা।

নতুন লেনদেন ব্যবস্থায় একদিনে বিপুল পরিমাণ শেয়ার লেনদেন করার ক্ষমতা থাকায় মার্কেট লট বলে কিছু থাকবে না। অর্থাৎ আইপিওতে শেয়ার বিক্রির ক্ষেত্রে লট (নির্দিষ্ট পরিমাণ শেয়ার) থাকলেও সেকেন্ডারি শেয়ারবাজারে লেনদেনের ক্ষেত্রে ক্রেতা বা বিক্রেতা পূর্ণ সংখ্যার যে কোনো পরিমাণ শেয়ার কিনতে বা বিক্রি করতে পারবেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- ডিএসই চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান, নাসডাকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মি. রবার্ট ফোরজ, বিএসই’র কমিশনারগণ এবং ডিএসই সাবেক সভাপতিগণ প্রমুখ।