ভিডিও EN
  1. Home/
  2. অর্থনীতি

সুদ হার সিঙ্গেল ডিজিটে আনার দাবি

প্রকাশিত: ১০:৩৪ এএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৪

দেশের শিল্পায়নের স্বার্থে ব্যাংক ঋণের সুদ হার যৌক্তিক পর্যায়ে অর্থাৎ সিঙ্গেল ডিজিট-এ আনার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এর সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ। রাজধানীতে সোমবার সংগঠনের ২০১৩-১৪ বছরের বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) তিনি এ কথা জানায়।

এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, অভ্যন্তরীন সম্পদ বাড়াতে ব্যবসা-বান্ধব ও বাস্তবায়নযোগ্য মূসক আইন প্রণয়নের জন্য এফবিসিসিআই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও ফরমালিন অপব্যবহার রোধ, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রন, জাল টাকার নোটের ব্যবহার রোধ, নারী উদ্যোক্তা উন্নয়নে এফবিসিসিআই গুরুত্বপূর্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

এফবিসিসিআই সভাপতি দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সরকার ও বেসরকারী খাতের যৌথ প্রচেষ্টায় দেশের অর্থনীতি একটি শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড়িয়েছে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬.১২ শতাংশ ও মাথাপিছু আয় দাড়িয়েছে ১১৯০ মার্কিন ডলার। জিডিপিতে সেবাখাতের অবদান ৫৪.০৫ শতাংশ, শিল্প খাতে ২৯.৬১ শতাংশ এবং কৃষিখাতের অবদান ১৬.৩৩ শতাংশ। রেমিটেন্স এসেছে  ১৪.২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বৈদেশিক মূদ্রার রিজার্ভ হয়েছে প্রায় ২২.৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে দেশে মোট ৪৯৮৯৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের মধ্যে বেসরকারী খাতের বিনিয়োগ ৩৭২০২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত অর্থবছরে মোট রপ্তানি ছিল ৩০.১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং রপ্তানী প্রবৃদ্ধি ছিল ১১.৬৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে প্রথম পাঁচ মাসে রপ্তানি হয়েছে ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত অর্থবছরে মোট আমদানী ছিল ৪০.৬২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং প্রবৃদ্ধি ১৯.১৭ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) আমদানী হয়েছে ১৩.৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫.২১ শতাংশ।

এসময় এফবিসিসিআই-এর সাধারণ পরিষদ সদস্যবৃন্দ মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে বাধ্যতামূলক সদস্যপদ নিশ্চিত করার মাধ্যমে এফবিসিসিআই এর অধিভূক্ত বিভিন্ন জেলা চেম্বার ও এসোসিয়েশনগুলোর ক্ষমতায়নের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এছাড়াও সদস্যবৃন্দ শিল্পায়ানের  লক্ষ্যে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ, অবকাঠামো উন্নয়ন নিশ্চিত ও ব্যাংকিং খাতের সংস্কার করার জন্য এফবিসিসিআইয়ের মাধ্যমে  সরকারের প্রতি আহবান জানান। এছাড়াও এফবিসিসিআইসহ অন্যান্য বানিজ্য সংগঠনের সংস্কার, দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টির জন্য পযাপ্ত কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, নারী উদ্যোক্তা উন্নয়ন, বিনিয়োগ বৃদ্ধি প্রভৃতি বিষয়ে সদস্যগন তাদের মতামত তুলে ধরেন।

বার্ষিক সাধারণ সভায় ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরের এফবিসিসিআইয়ের বার্ষিক প্রতিবেদন এবং অডিট রিপোর্ট সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়।

এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহ্মদ-এর  সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন- এফবিসিসিআই  প্রথম সহ-সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী, সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, এফবিসিসিআই পরিচালকবৃন্দ এবং এফবিসিসিআই এর সাধারন পরিষদ সদস্যবৃন্দ।