পাঠ্যবই বাঁধাইয়ে পেশাদার শ্রমিক নিয়োগ ও ন্যায্য মজুরি দাবি

পাঠ্যপুস্তক বাঁধাইয়ের কাজ সরাসরি পেশাদার শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পুস্তক বাঁধাই ব্যবসায়ী সমিতি। একই সঙ্গে এ কাজে ন্যায্য পারিশ্রমিক নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
রোববার (১ জুন) বিকেলে রাজধানীর বাংলাবাজারে বাংলাদেশ পুস্তক বাঁধাই ব্যবসায়ী সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি নাইমুর রহমান কিরন, সহ-সভাপতি রাজনুভ ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান কচি, শ্রম সম্পাদক ইমরান হোসেনসহ সমিতির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও পুস্তক বাঁধাই সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সম্প্রতি অভিজ্ঞ শ্রমিক দিয়ে বই বাঁধাইয়ের নির্দেশনা দিলেও বাস্তবে তা যথাযথ মানা হচ্ছে না। দীর্ঘদিন আমাদের অভিজ্ঞ শ্রমিকরা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার এক গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে নিরবে কাজ করে যাচ্ছেন। অথচ সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে, কিছু অপেশাদার ঠিকাদার টেন্ডার নিয়ে স্বল্পমূল্যে অনভিজ্ঞ শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করিয়ে নিচ্ছেন। এতে বইয়ের মান যেমন নষ্ট হচ্ছে, তেমনই শ্রমিকরাও তাদের প্রাপ্য পারিশ্রমিক থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
- আরও পড়ুন
প্রাথমিক শিক্ষায় লক্ষ্য সামান্য, পড়া-লেখা-যোগ-বিয়োগ শেখাতে হবে
আরও ৬ ধরনের নতুন নোটের নকশা উন্মোচন করলো বাংলাদেশ ব্যাংক
এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে তিন দফা দাবি উপস্থাপন করেন সংগঠনটি। সেগুলো হলো- টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের বাঁধাই শ্রমিকদের তালিকা ও অভিজ্ঞতা যাচাই বাধ্যতামূলক করা। বোর্ড বই বাঁধাইয়ের কাজ সরাসরি পেশাদার বাঁধাই ব্যবসায়ীদের হাতে দেওয়া। শ্রমিকদের ন্যায্য পারিশ্রমিক নিশ্চিত করতে ন্যূনতম দর নির্ধারণ।
সংগঠনটির সভাপতি নাইমুর রহমান কিরন বলেন, বই বাঁধাই কোনো সাধারণ ব্যবসা নয়, এটি একটি দক্ষতাভিত্তিক কাজ। অভিজ্ঞ শ্রমিকদের হাতেই যদি এই কাজ না থাকে, তাহলে শিক্ষার্থীদের হাতে ভালো বই পৌঁছানো সম্ভব নয়।
বিজ্ঞাপন
সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বই বাঁধাই শিল্পের ভবিষ্যৎ রক্ষায় এবং হাজারও শ্রমজীবী পরিবারের জীবিকা টিকিয়ে রাখতে যেন বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
এসময় তিন দফা দাবি আদায় না হলে বাঁধাই কার্যক্রম স্থগিতের ঘোষণা দেন সমিতির সেক্রেটারি কামরুজ্জামান কচি। তিনি বলেন, আমাদের খেলনা মনে করে খেলা হচ্ছে। আমাদের দাবি না মানলে বই বাঁধাই কার্যক্রম স্থগিত করা হবে।
তৌফিক হোসেন/কেএসআর
বিজ্ঞাপন