ভিডিও EN
  1. Home/
  2. শিক্ষা

ভাইভা কঠিন হওয়ায় ফেল বেশি, দায় নিতে ‘নারাজ’ এনটিআরসিএ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:২৯ পিএম, ১৫ জুন ২০২৫

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে প্রিলি ও লিখিত পরীক্ষায় পাস করেও মৌখিকে (ভাইভা) রেকর্ডসংখ্যক প্রার্থী ফেল করেছেন। ফেলের এ হার ‘অস্বাভাবিক’ দাবি করে ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন প্রার্থীরা।

রোববার (১৫ জুন) দিনভর তারা বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ফেল করা প্রার্থীদের অভিযোগ, চূড়ান্ত ফলাফলে ইচ্ছা করেই তাদের ফেল করিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি—ফলাফল পুনর্মূল্যায়ন করে ভাইভায় অংশ নেওয়া সবাইকে তাদের শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিতে হবে। দাবি না মানা পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

প্রিলি ও লিখিত পরীক্ষায় পাস করে ভাইভায় রেকর্ডসংখ্যক প্রার্থীর ফেল করার দায় নিতে রাজি নয় এনটিআরসিএ কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, এবার ভাইভা তুলনামূলক কঠিন হয়েছে। সেজন্য ফেলের হার বেশি। কিন্তু যারা ভাইভা নেন, তারা এক্সটার্নাল (বাইরে থেকে আসা পরীক্ষক)। তারা যে নম্বর দিয়েছেন, সেটা যোগ-বিয়োগ করে চূড়ান্ত ফল তৈরি করা হয়েছে। এর দায় এনটিআরসিএর নয়।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মুহম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘মৌখিক পরীক্ষায় মূল ভূমিকা রেখেছেন এক্সটার্নালরা। অর্থাৎ, যারা বাইরে থেকে পরীক্ষা নিতে এসেছিলেন। প্রার্থীদের পাস—ফেল অনেকটা তারাই নির্ধারণ করেছেন। মৌখিক পরীক্ষা এবার তুলনামূলক কঠিন হওয়ায় ফেলের সংখ্যা কিছুটা বেশি।’

‘চূড়ান্ত ফল পুনর্মূল্যায়নের সুযোগ নেই’

বিজ্ঞাপন

ভাইভায় ফেল করা প্রার্থীদের দাবি—তাদের ফলাফল পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে। কেউ কেউ বলছেন, ভাইভায় অংশ নেওয়া সবাইকে পাস ঘোষণা করে সনদ দিয়ে দিতে হবে। আরেকদল প্রার্থীর দাবি, যেসব ভাইভা বোর্ডে বেশি ফেল করেছে, তাদের বিষয়টি তদন্ত করে পুনরায় ফল ঘোষণা করতে হবে।

তবে এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, যে বিধিমালার অধীনে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা নেওয়া হয়, তাতে চূড়ান্তভাবে প্রকাশিত ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের সুযোগ নেই।

ভাইভা কঠিন হওয়ায় ফেল বেশি, দায় নিতে ‘নারাজ’ এনটিআরসিএ

বিজ্ঞাপন

নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘যারা আন্দোলন করছেন, তাদের প্রতিনিধিদল আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা লিখিত আকারে তাদের দাবি-দাওয়া দিয়ে গেছেন। তাদের আমি বিষয়টি জানিয়েছি। আমাদের বিধিমালায় ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের কোনো সুযোগ রাখা হয়নি। আমরা চাইলেও এটা করতে পারবো না।’

তিনি বলেন, ‘দেখুন, একটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষার ফলাফলও প্রকাশিত হয়েছে। চাকরির পরীক্ষার ফল কখনো পরিবর্তন হতে শুনিনি। পিএসসি ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল পুনরায় প্রকাশ করেছিল। তবে সেটি চূড়ান্ত ফলাফল ছিল না। আমাদের এটার (শিক্ষক নিবন্ধন) তো চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এখন আর সুযোগ নেই।’

তাহলে প্রার্থীদের দাবি-দাওয়া নিয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে-এমন প্রশ্নে এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান বলেন, ‘তাদের দাবিগুলো আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। মন্ত্রণালয় যদি মনে করে যে, ফলাফল পুনর্মূল্যায়ন করা হবে; তাহলে তারা সেটা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। আমাদের কিছু করার নেই।’

বিজ্ঞাপন

এর আগে গত ৪ জুন বিকেলে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। এতে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হন ৬০ হাজার ৫২১ জন প্রার্থী। ফেল করেন ২০ হাজার ৬৮৮ জন। শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় এ যাবতকালে এটিই ভাইভায় সর্বোচ্চ ফেল।

জানা যায়, ২০২৩ সালের ২ নভেম্বর ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এ পরীক্ষায় অংশ নিতে রেকর্ড প্রায় ১৯ লাখ প্রার্থী আবেদন করেন। ২০২৪ সালের ১৫ মার্চ এ নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রিলিতে পাস করেন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন প্রার্থী।

২০২৪ সালের ১২ ও ১৩ জুলাই ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয় একই বছরের ১৪ অক্টোবর। এতে পাস করেন ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন। তাদের মধ্যে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন ৮১ হাজার ২০৯ জন।

বিজ্ঞাপন

এএএইচ/ইএ/এএসএম

বিজ্ঞাপন