স্বর্ণপদক পেলেন বুয়েট অধ্যাপক আখতার হোসেন

বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্স-জাতীয় অধ্যাপক ড. এম. ইন্নাস আলী মেমোরিয়াল স্বর্ণপদক পেয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম আখতার হোসেন। ভৌত বিজ্ঞান গবেষণায় ও শিক্ষায় বিশেষ অবদান রাখায় সম্প্রতি তাকে মর্যাদাপূর্ণ এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
বুয়েটের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ডিস্টিংগুইশড অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন ১৯৯৮ সালে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজ থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তার গবেষণার বিষয় সুপারকন্ডাক্টর, ন্যানোস্ট্রাকচার্ড ফেরাইটস, ফেরোইলেট্রিক্স, মাল্টিফেরোইকস, ডাইলিউটেড ম্যাগনেটিক সেমিকন্ডাক্টর, অপটোইলেক্ট্রনিক ম্যাটেরিয়ালস এবং ন্যানোক্রিস্টালাইন অ্যালয়।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
তিনি ১৩ জন পিএইচডি, ৪৭ জন এমফিল এবং ২৬ জন এমএসসি শিক্ষার্থীর থিসিস তত্ত্বাবধান করেছেন। বিভিন্ন স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক জার্নালে তার ১৩৮টি পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
প্রফেসর আখতার হোসেন বৈজ্ঞানিক জার্নালগুলোতে একটি উল্লেখযোগ্য প্রকাশনা রেকর্ড সংগ্রহ করেছেন, যা তার গবেষণার ক্ষেত্রে একজন উদীয়মান গবেষক হিসেবে তার পাণ্ডিত্য নির্দেশ করে। তিনি এ পর্যন্ত মোট ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর স্কোর ৪২১, ৪২৪৮টি সাইটেশন, এইচ-সূচক ৩৬ এবং আই-১০ সূচক ৯৪ সহ চিত্তাকর্ষক মেট্রিক্স অর্জন করেছেন।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের প্রতি তার দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং পরামর্শ কেবল বিজ্ঞানকে সমৃদ্ধ করেনি বরং গবেষকদের একটি নতুন প্রজন্মকে জ্ঞান এবং আবিষ্কারের সন্ধান শুরু করতে অনুপ্রাণিত করেছে।
অধ্যাপক আখতার হোসেন বিভিন্ন কনফারেন্স, সেমিনার ও ওয়ার্কশপে বক্তৃতা প্রদানের মাধ্যমে তার জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করে থাকেন। জাপানের ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে বেশ কয়েকবার আমন্ত্রিত হয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বুয়েটের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান (২০০৯-২০১১) এবং বুয়েটের একটি আবাসিক হলের প্রভোস্ট (২০১৪-২০১৮) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি বুয়েটের স্নাতকোত্তর শিক্ষা অনুষদের সহযোগী ডিন হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। তিনি বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্সের একজন সম্মানিত ফেলো।
এএএইচ/ইএ/জিকেএস
বিজ্ঞাপন