এনটিআরসিএর ২০ বছর
১৯ নিবন্ধনে আবেদন কোটির বেশি, শিক্ষক নিয়োগ পৌনে ২ লাখ
এনটিআরসিএ’র শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা/ফাইল ছবি
দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত ১৮টি সাধারণ ও একটি বিশেষ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার আয়োজন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
১৯টি নিবন্ধন পরীক্ষায় সনদ পেতে আবেদন করেন এক কোটি ১৭ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৬ জন। প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তাদের মধ্যে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ সুপারিশ পেয়েছেন মাত্র এক লাখ ৭৭ হাজার ৫৭১ জন। শতকরা হিসাবে আবেদন করা প্রার্থীর মাত্র ১ দশমিক ৫১ শতাংশ নিয়োগ পেয়েছেন।
সম্প্রতি এনটিআরসিএর কার্যালয়ে অংশীজনদের নিয়ে আয়োজিত কর্মশালায় সংস্থাটির সার্বিক কার্যক্রম তুলে ধরা হয়। সেই পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
এনটিআরসিএ জানিয়েছে, ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত একটি বিশেষ ও ১৮টি নিয়মিত শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা নিয়েছে সংস্থাটি। মোট ১৯টি নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেছিলেন এক কোটি ১৭ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৬ জন। তাদের মধ্যে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ সুপারিশ পেয়েছেন এক লাখ ৭৭ হাজার ৫৭১ জন, শতকরা যা ১ দশমিক ৫১ শতাংশ।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী— নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশ নেওয়া একটি বিশেষসহ ১৮টি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ৭ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৬ জন। সে অনুযায়ী নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণের হার ৬ দশমিক ২৭ শতাংশ।
আর উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে নিয়োগ সুপারিশ পাওয়ার হার ২৪ দশমিক ০৮ শতাংশ। তবে সুপারিশপ্রাপ্তদের মধ্যে কত শতাংশ প্রার্থী যোগদান করেছেন সেই তথ্য জানাতে পারেনি এনটিআরসিএ।
এনটিআরসিএর কার্যালয়ে অংশীজনদের নিয়ে আয়োজিত কর্মশালা
এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, সর্বশেষ প্রকাশিত ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে ৩৪ হাজার ৩৪৩ জন যোগদান করেছেন। যোগদান করতে গিয়ে অনেকে নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ আসছে। শিক্ষকদের হয়রানি করা যাবে না।
তিনি বলেন, যোগদানের একমাসের মধ্যে শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির ফাইল অধিদপ্তরে পাঠাতে হবে। এ বিষয়ে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। এ নির্দেশনা অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানপ্রধানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হবে।
এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান বলেন, আমরা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ করি। তবে অনেক প্রধান শিক্ষক ভুল তথ্য দেন। এতে করে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থী নানা বিড়ম্বনার শিকার হন। এজন্য এখন থেকে প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের কাছে শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে না। এখন থেকে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের কাছে শূন্য পদের তথ্য চাওয়া হবে।
এদিকে, আগামীতে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার ধরন পাল্টে যাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান। আমিনুল ইসলাম বলেন, নিবন্ধন পরীক্ষা নিয়ে আমরা নতুন একটি প্রস্তাবনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। সেখানে মাদরাসার ক্ষেত্রে ১৪০ নম্বর সাবজেক্টিভ এবং ৬০ নম্বর জেনারেল (বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ জ্ঞান) বিষয়ে পরীক্ষা হবে। এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে প্রার্থীকে ৮০ নম্বর পেতে হবে।
এএএইচ/এমএএইচ/এএসএম
সর্বশেষ - শিক্ষা
- ১ প্রাথমিক শিক্ষকদের শাটডাউন স্থগিত, রোববার থেকে পরীক্ষা
- ২ আন্দোলন করা অসংখ্য প্রাথমিক শিক্ষককে ভিন্ন জেলায় বদলি
- ৩ পরীক্ষা না নেওয়ায় প্রাথমিক শিক্ষকের মাথা ফাটালেন অভিভাবকরা
- ৪ অধ্যক্ষ-প্রধান শিক্ষক নিয়োগে নতুন শর্ত, তৃতীয় বিভাগ থাকলেই অযোগ্য
- ৫ ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যারিয়ার ফেয়ার, অংশ নিলো ৬০ প্রতিষ্ঠান