একজন বাদে সবাই পাস রাজউক উত্তরা মডেল কলেজে
ছবি-ফাইল
রাজধানীর স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রাজউক উত্তরা মডেল কলেজে এইচএসসি পরীক্ষায় একজন শিক্ষার্থী বাদে সবাই পাস করেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ফলাফল ঘোষণার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী শওকত আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, এবার রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ থেকে ১ হাজার ৫৩৯ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ১ হাজার ৫৩৮ জন পাস করেছে। অর্থাৎ পাসের হার ৯৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৫৫ জন।
আগের বছর ২০১৭ সালে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় ১ হাজার ৩৭০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে এবং সবাই পাস করে। আর জিপিএ-৫ পায় ৭৮৯ জন। সে হিসাবে এবার রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ থেকে পাসের হার ও জিপিএ-৫ পাওয়ার সংখ্যা উভয় কমেছে।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ শওকত আলম জাগো নিউজকে বলেন, আমরা এবারের ফলাফলে সন্তুষ্ট। তারপরও সার্বিক ফলাফল পর্যালোচনা করছি। কোথায় ভালো করেছি, কোথায় খারাপ করেছি, সার্বিক বিষয় আমরা পর্যালোচনা করবো। সামনে যাতে আমাদের একজন শিক্ষার্থীও ফেল না করে আমরা সেই চেষ্টা করবো।
শওকত আলম জানান, এবার রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগের ১ হাজার ৫ শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এ বিভাগ থেকে পাসের হার শতভাগ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৮৫ শিক্ষার্থী।
ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ৪১৯ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এবং শতভাগ পাস করেছে। এ বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩৮ শিক্ষার্থী। আর মানবিক বিভাগ থেকে ১১৫ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১১৪ জন পাস করেছে। এ বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩২ জন।
আগের বছর ২০১৭ সালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি থেকে বিজ্ঞান বিভাগের ৮৭৫ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৭২০ জন জিপিএ-৫ পায়। আর ব্যাবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ৩৮৪ জন অংশগ্রহণ করে ৪৭ জন এবং মানবিক বিভাগ থেকে ১১১ অংশগ্রহণ করে ২২ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পায়।
এ হিসাবে এবার বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পাওয়ার সংখ্যা কমেছে, তবে ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পাওয়ার সংখ্যা বেড়েছে।
এবারের এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ বলেন, এবার খুব সুন্দর পরীক্ষা হয়েছে। পরীক্ষা নিয়ে কারও মনে কোনো প্রশ্ন ছিল না। সুন্দর একটি পরিবেশে পরীক্ষা হয়েছে।
রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের সফলতার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা যাতে ভালো ফলাফল করে, সেজন্য শিক্ষকরা সব সময় চেষ্টা করেন। শিক্ষার্থীরা নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যে আছে কি, ঠিকমত পড়া-লেখা করছে কি? এ বিষয়ে আমাদের শিক্ষক ও অবিভাবক সবাই মিলে নজরদারি করি। এভাবে আমরা শিক্ষার্থীদের ভালো ফলাফলের জন্য প্রস্তুত করি।
এমএএস/জেএইচ/জেআইএম