ভিডিও EN
  1. Home/
  2. শিক্ষা

আজ থেকে ১২-১৭ বছর বয়সী স্কুলশিক্ষার্থীদের টিকাদান

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:৪৬ এএম, ০১ নভেম্বর ২০২১

আজ থেকে রাজধানীর স্কুলগুলোতে ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকাদান কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। সোমবার (১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল হাই স্কুলে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।

রোববার (৩১ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (এমএনসিঅ্যান্ডএইচ) ডা. মো. শামসুল হক এসব তথ্য জানান।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

তিনি জানান, স্কুলশিক্ষার্থীদের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা দেওয়া হবে। টিকা দেওয়ার জন্য প্রতিটি স্কুলে থাকবে ২৫টি বুথ। প্রাথমিক পর্যায়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের মাধ্যমে রাজধানীর আটটি স্কুলকে ক্লাস্টার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আট স্কুলের প্রতিটিতে গড়ে দৈনিক দুই হাজার ৫০০ থেকে তিন হাজার টিকা দেওয়া হবে।

স্কুলগুলো হলো- হার্ডকো ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, সাউথপয়েন্ট ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, চিটাগং গ্রামার স্কুল, আইডিয়াল স্কুল, মিরপুর কমার্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ধানমন্ডি কাকলি হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সাউথ ব্রিজ স্কুল ও মিরপুর স্কলাসটিকা স্কুল। এই আটটি কেন্দ্রে সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষার্থী ছাড়াও আশপাশের স্কুলের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

তিনি জানান, ফাইজার-বায়োএনটেকের এই টিকাটি খুবই টেম্পারেচার সেনসিটিভ টিকা। যে কেন্দ্রে দেওয়া হয় সেটা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হতে হয়। তাছাড়া টিকাটি তৈরি করতে যে ডায়োলেট লাগে সেটা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে রাখতে হয়। এ কারণে আটটি স্কুলকে নির্বাচিত করা হয়েছে।

এই কর্মকর্তা আরও জানান, রাজধানীর বাইরের ২২টি জেলায়ও টিকাদান কেন্দ্র প্রস্তুত করা হচ্ছে। রাজধানীসহ সারাদেশে টিকাদান শুরু হলে গড়ে প্রতিদিন ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে।

বিজ্ঞাপন

স্কুলশিক্ষার্থীদের টিকা দিতে এরইমধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর-মাউশি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সে তথ্য আইসিটি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে টিকার তথ্য ভাণ্ডারে যোগ হওয়ায় শিক্ষার্থীরা এখন নিবন্ধন করতে পারছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, প্রতিটি জেলায় টিকা দেওয়ার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। যেখানে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা নেই, সেখানে শীততাপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা হবে।

দৈনিক কত সংখ্যক শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন যেটা হাতে নিয়েছি, তাতে প্রতিদিন প্রায় ৪০ হাজার টিকা দেওয়া যাবে। টিকা যতদিন মজুত থাকবে, এ কার্যক্রম চালু থাকবে। আমাদের কাছে যথেষ্ট টিকা মজুত আছে।

বিজ্ঞাপন

এমএইচএম/ইএ/জেআইএম

বিজ্ঞাপন

পরবর্তী খবর

লটারিতে হতে পারে সব শ্রেণির ভর্তি কার্যক্রম

মুরাদ হুসাইন | প্রকাশিত: ০৮:১৬ পিএম, ৩১ অক্টোবর ২০২১

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ এড়াতে চলতি বছরও সরকারি-বেসরকারি স্কুলের ভর্তি কার্যক্রম লটারির মাধ্যমে সম্পন্ন করতে চায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এই লক্ষ্য নিয়ে স্কুল ভর্তি নীতিমালা তৈরি হচ্ছে। চলতি সপ্তাহে এ ব্যাপারে সভা করে নীতিমালা চূড়ান্ত করা হতে পারে। তবে সব শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির পক্ষে নন রাজধানীর শীর্ষ প্রতিষ্ঠানপ্রধানরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নতুন বছর সামনে রেখে নভেম্বর থেকে দেশের সরকারি-বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তি শুরু হচ্ছে। এরই মধ্যে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রস্তুতি নিয়েছে বেসরকারি বিদ্যালয়গুলো। রাজধানীর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি ফরম বিতরণ হবে ডিসেম্বরের শুরুতে এবং মাসের শেষ দিকে লটারি বা ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। আবেদন কার্যক্রম চলবে অনলাইনে।

সাধারণত প্রতি বছর স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণিতে লটারি অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া দ্বিতীয় থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।

মাউশি সূত্রে জানা যায়, গত বছরের মতো এবারো ভর্তি পরীক্ষার পরিবর্তে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত লটারির মাধ্যমে ভর্তি সম্পন্ন করতে নীতিমালা সংশোধন করা হচ্ছে। করোনার ঝুঁকি এড়াতে সব শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। চলতি সপ্তাহে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সভা করে ২০২২ সালের স্কুল ভর্তি নীতিমালা চূড়ান্ত করার কথা রয়েছে। গত সপ্তাহের বুধবার এ সভা হওয়ার কথা থাকলেও এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনের কারণে ওই সভা বাতিল হয়। চলতি সপ্তাহের যেকোনো দিন এ সভা হতে পারে। গত বছর সরকারি-বেসরকারি স্কুলে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি সম্পন্ন হয়।

জানতে চাইলে মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুক জাগো নিউজকে বলেন, আগামী বছরের নীতিমালা এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি। এ বিষয়ে কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে নীতিমালা চূড়ান্ত করে ঘোষণা দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, করোনার মধ্যে স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তিতে কীভাবে ঝুঁকি এড়ানো যায় সে বিষয়টি বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। এ কারণে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত লটারির মাধ্যমে ভর্তি করতে প্রস্তাব দেওয়া হবে। এ প্রস্তাব গৃহীত হলে আগামী বছরের শিক্ষার্থী ভর্তি লটারিতে করা হবে।

jagonews24

এদিকে মাধ্যমিকে লটারির মাধ্যমে ভর্তি করা হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নানা ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক কামরুন্নাহার। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, লটারির মাধ্যমে সব ক্লাসে ভর্তি করা হলে শিক্ষার্থী বাছাই করে নেওয়া সম্ভব হয় না।

তিনি বলেন, অনেকে লটারিতে ভর্তি হলে পরে টিউশন ফি পরিশোধ করতে পারে না। যেহেতু শিক্ষার্থীদের টিউশন ফির ওপর নির্ভর করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যয় ও বেতন-ভাতা দেওয়া হয়। তাই কেউ যদি পাওনা পরিশোধ না করে তাহলে প্রতিষ্ঠানে সংকট তৈরি হয়। তবে লটারির মাধ্যমে ভর্তি হলে তদবির কিংবা অন্য চাপ থাকে না।

অন্যদিকে রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগম জাগো নিউজকে বলেন, সব ক্লাসে লটারিতে ভর্তি করলে নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত লটারিতে ভর্তি হতে পারে। কিন্তু এর পরবর্তী ক্লাসে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি করালে শিক্ষার্থী বাছাইয়ের মাধ্যমে ভর্তি করানো সম্ভব হয়।

তিনি বলেন, স্কুল পর্যায়ের বড় ক্লাসে লটারিতে ভর্তি করালে ভালো মানের শিক্ষার্থী পাওয়া যায় না। উপরের ক্লাসে শিক্ষার্থী ভর্তির বেশি চাপ থাকে না, সেখানে সহজে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব, প্রয়োজনে এক ক্লাসের পরীক্ষা ভাগ ভাগ করে কয়েকদিন আয়োজন করা যেতে পারে। পরীক্ষার মাধ্যমে ভালো শিক্ষার্থী ভর্তি না করালে প্রতিষ্ঠানের মান ধরে রাখাও কঠিন হয়ে পড়ে। সব ক্লাসে লটারিতে ভর্তি হলে তো বিশ্ববিদ্যালয়েও লটারিতে ভর্তি করানো যেতো, সেখানে কেন পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে- এমন প্রশ্ন রাখেন এই অধ্যক্ষ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (সরকারি বিদ্যালয়) সৈয়দ ইমামুল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তি নীতিমালার কাজ শুরু হয়েছে। চলতি সপ্তাহে এ সংক্রান্ত নীতিমালা চূড়ান্ত করা হতে পারে। নীতিমালায় গত বছরের চেয়ে এ বছর বড় কোনো পরিবর্তন আসছে না বলে জানান তিনি।

এমএইচএম/এআরএ/জিকেএস

পরবর্তী খবর

বুয়েটের হল খুলছে ১০ নভেম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:১৭ পিএম, ৩১ অক্টোবর ২০২১

আগামী ১০ নভেম্বর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) আবাসিক হল খুলে দেওয়া হবে। রোববার (৩১ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, আগামী ১০ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পর্যায়ের সব আবাসিক হল শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ স্মৃতি হল এখনো বন্ধই থাকছে।

হলে ওঠার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই কমপক্ষে ১ ডোজ করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে হবে।

এদিকে করোনা পরিস্থিতির কারণে গত দেড় বছর ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখী হওয়ায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল-কলেজ সীমিত আকারে খুলে দেওয়া হয়। সেই সেঙ্গ সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলতে শুরু করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের শর্ত অনুযায়ী, করোনা টিকার অন্তত একটি ডোজ নেওয়া শিক্ষার্থীরা আবাসিক হলে উঠতে পারবে। সেটি বাস্তবায়ন করে বিশ্ববিদ্যালগুলোর আবাসিক হল খুলে দেওয়া হচ্ছে।

এমএইচএম/এমএইচআর/জেআইএম

পরবর্তী খবর

পরীক্ষা থাকবে, চাপ কমানো হবে: শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:৩৩ পিএম, ৩১ অক্টোবর ২০২১

শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন পদ্ধতি কেমন হবে সে বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, পরীক্ষা থাকবে কিন্তু সেটা যেন বোঝা না হয়ে যায়। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ভীতিতে ফেলা যাবে না। মূল্যায়ন হবে, তবে সেটা যেন প্রতিযোগিতা না হয়।

রোববার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ভীতি থেকে বের করে আনা হবে। বিশ্বের অনেক দেশে এ ধরনের স্বীকৃত পদ্ধতি রয়েছে। সেসবের আলোকে আমাদের কারিকুলাম আধুনিকায়ন করা হচ্ছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ডা. দীপু মনি বলেন, ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে মানিকগঞ্জের কয়েকটি স্কুলে শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আগামীকাল সোমবার (১ নভেম্বর) রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান শুরু হবে। এজন্য টিকাদানকেন্দ্র উদ্বোধন করা হবে। ধাপে ধাপে মহানগরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আটটি কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। পর্যায়ক্রমে দেশের সকল জেলায় স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য টিকা কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ঢাকা মহানগরের যেসব শিক্ষার্থী নিবন্ধন করতে পারেনি তাদেরকে ধাপে ধাপে টিকার আওতায় আনা হবে। টিকাদান কেন্দ্রে যেন অভিভাবকরা ভিড় না করেন সেজন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন মন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

এমএইচএম/কেএসআর/জেআইএম

পরবর্তী খবর

যে প্রক্রিয়ায় টিকার জন্য নির্বাচিত হবে শিক্ষার্থীরা

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০৩:৪০ পিএম, ৩১ অক্টোবর ২০২১

জন্ম নিবন্ধন সনদের মাধ্যমে সুরক্ষা অ্যাপে নাম নিবন্ধন করে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা টিকা গ্রহণের জন্য নির্বাচিত হবে। স্কুল কর্তৃপক্ষ ওই বয়সী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জন্মনিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করে আইসিটি বিভাগে পাঠাচ্ছেন। আইসিটি বিভাগ ওইসব জন্মসনদের তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই (হোয়াইট লিস্টিং) করে সুরক্ষা অ্যাপে সন্নিবেশিত করবে। তখন স্কুল কর্তৃপক্ষ কিংবা শিক্ষার্থী নিজেই সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে নাম নিবন্ধন করে টিকাকার্ড সংগ্রহ করতে পারবে। এরপর জন্মনিবন্ধনের ফটোকপি সঙ্গে নিয়ে গিয়ে টিকা দিতে পারবে। রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কাউকে টিকা দেওয়া হবে না।

রোববার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক ভার্চুয়াল বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমএনসিঅ্যান্ডএএইচ অপারেশনাল প্ল্যানের লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. শামসুল হক এ তথ্য জানান।

রাজধানী ঢাকায় আগামীকাল সোমবার (১ নভেম্বর) থেকে শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকাদান কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল হাইস্কুলে টিকাদান কার্যক্রমের উদ্ভোধন করবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত ফাইজার বায়োএনটেকের টিকা দেওয়া হবে। প্রতিটি স্কুলে শিক্ষার্থীদের টিকাদানের জন্য ২৫টি বুথ থাকবে।

প্রাথমিক পর্যায়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের মাধ্যমে রাজধানীর ৮টি স্কুলকে ক্লাস্টার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। স্কুলগুলো হলো - হার্ডকো ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, সাউথপয়েন্ট ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, চিটাগাং গ্রামার স্কুল, আইডিয়াল স্কুল, মিরপুর কমার্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ধানমন্ডি কাকলি হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, সাউথ ব্রিজ স্কুল এবং মিরপুর স্টলাসটিকা স্কুল। এ ৮টি কেন্দ্রে সংশ্লিষ্ট স্কুলের নিজেদের শিক্ষার্থী ছাড়াও আশেপাশের স্কুলের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে। ৮টি স্কুলের প্রতিটিতে গড়ে প্রতিদিন দুই হাজার ৫০০ থেকে তিন হাজার টিকা দেওয়া হবে।

রাজধানীর বাইরের ২২টি জেলাতেও টিকাদানকেন্দ্র প্রস্তুত হচ্ছে। রাজধানীসহ সারাদেশে টিকাদান শুরু হলে গড়ে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে।

এমইউ/কেএসআর/জেআইএম

পরবর্তী খবর

বঙ্গবন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের নামে ১৭ প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১২:০৫ পিএম, ৩১ অক্টোবর ২০২১

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে স্থাপিত ১৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করেছে সরকার।

রোববার (অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা এম এ খায়ের জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের পক্ষ থেকে পৃথকভাবে এমপিওভুক্তির আবেদন চাওয়া হয়েছে।

তবে এ প্রতিষ্ঠানগুলো প্রধানমন্ত্রী বিশেষ ক্ষমতাবলে এমপিওভুক্তির অনুমোদন দিয়েছেন। এছাড়া বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের বাইরে স্থাপিত আরও দুটি প্রতিষ্ঠানকে এর সঙ্গে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে নিম্ন মাধ্যমিক পর্যায়ে চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মাধ্যমিক পর্যায়ে আটটি, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে একটি কলেজ ও ডিগ্রি পর্যায়ে ছয়টি কলেজ এমপিওভুক্ত হয়েছে।

নিম্ন মাধ্যমিক পর্যায়ে এমপিওভুক্ত হওয়া চার স্কুল হলো- কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার পূর্ব চণ্ডিপুর বঙ্গবন্ধু নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, জামালপুর সদরের বঙ্গবন্ধু আইডিয়াল স্কুল, বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার পরানপুর শহীদ শেখ আবু নাসের মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং গোপালগঞ্জ সদরের শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়।

মাধ্যমিক পর্যায়ে এমপিওভুক্ত হওয়া আট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হলো-পঞ্চগড় সদরের চাকলাহাট বঙ্গবন্ধু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়, পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়, নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়, পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার মাধপুর শেখ হাসিনা উচ্চ বিদ্যালয়, গাজীপুর সদর উপজেলার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল, শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মানিকনগর শেখ হাসিনা উচ্চ বিদ্যালয় এবং হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়।

উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে এমপিওভুক্ত হওয়া একমাত্র প্রতিষ্ঠানটি হলো ময়মনসিংহের তারাকান্দার শেখ মুজিব কলেজ।

আর ডিগ্রি পর্যায়ে এমপিওভুক্ত হওয়া কলেজগুলো হলো- ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ডিগ্রি কলেজ, ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংলকৈল উপজেলার নেকমরদ বঙ্গবন্ধু কলেজ, রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার খালাশপীর বঙ্গবন্ধু কলেজ, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ, ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল কলেজ এবং সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ।

এমএইচএম/এমকেআর/এমএস