ভিডিও EN
  1. Home/
  2. শিক্ষা

পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির ইনসেপশন কর্মশালা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:৫২ পিএম, ০৯ মার্চ ২০২২

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অধীন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির ইনসেপশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (এসইডিপি) আওতায় স্ট্রেংদেনিং রিডিং হ্যাবিট অ্যান্ড রিডিং স্কিলস অ্যামাং সেকেন্ডারি স্টুডেন্টস স্কিমের এ কর্মশালা বুধবার (৯ মার্চ) বিকেল ৪টায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।

পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির টিম লিডার এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব আবু বকর ছিদ্দীক, বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) এবং ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর (এসইডিপি) বেলায়েত হোসেন তালুকদার, মাউশির মহাপরিচালক প্রফেসর নেহাল আহমেদ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মামুনুল আলম।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

কর্মশালায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক বাংলাদেশ অফিস, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের কর্মকর্তা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান, গ্রন্থাগারিক/সংগঠক, শিক্ষার্থী এবং সাংবাদিকসহ সরকারের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য এবং স্ট্রেংদেনিং রিডিং হ্যাবিট অ্যান্ড রিডিং স্কিলস অ্যামাং সেকেন্ডারি স্টুডেন্টস স্কিম পরিচিতি উপস্থাপন করেন প্রফেসর মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন, পরিচালক (মাধ্যমিক) এবং স্কিম পরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির কো-টিম লিডার শামীম আল মামুন কর্মসূচি বাস্তবায়নে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

তিনি জানান, কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের এসইডিপির মধ্যে দুই বছরের (২৪ মাস) একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী দেশের ৬৪ জেলার ৩০০ উপজেলার ১৫ হাজার মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মসূচি বাস্তবায়িত হবে। এর আওতায় প্রথম বছর প্রায় ২৫ লাখ এবং দ্বিতীয় বছরেও প্রায় ২৫ লাখ শিক্ষার্থী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের লাইব্রেরি থেকে পাঠ্যবই বহির্ভূত সৃজনশীল বই পড়ার সুযোগ পাবে।

jagonews24

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও উল্লেখ করেন, কর্মসূচির প্রধান কার্যক্রমসমূহ হলো- স্কিমভুক্ত সব মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই পড়ার অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা, প্রতিষ্ঠান প্রধান, শিক্ষক ও লাইব্রেরিয়ান/সংগঠককে কর্মসূচি বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করা, শিক্ষার্থীদের বয়স ও মন-উপযোগী সুন্দর সুখপাঠ্য বই সরবরাহ করা, প্রতিষ্ঠানে বই পড়া ব্যবস্থাপনা তদারকি করা, বই পড়ার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করে পুরস্কার প্রদান করা, প্রতিষ্ঠানের লাইব্রেরির মানোন্নয়নে সহযোগিতা করা, বই পড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা এবং অনলাইনে বইপড়া কার্যক্রম ও ডিজিটাল লাইব্রেরি তৈরি করা।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসইডিপির প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর ও অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মামুনুল আলম বলেন, উন্নয়নশীল দেশ গড়ায় পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে এসইডিপির ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর ও অতিরিক্ত সচিব বেলায়েত হোসেন তালুকদার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে তার নিজের বই পড়ার অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করে বলেন, জাতি গঠনের জন্য আলোকিত মানুষ দরকার। জাতি গঠনে আমরা সবাই এক সাথে পরিশ্রম করে আলোকিত মানুষ গড়ব।

বিজ্ঞাপন

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর নেহাল আহমেদ।

কর্মশালার প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব আবু বকর ছিদ্দীক অনলাইনে যুক্ত হয়ে বলেন, এই কর্মসূচি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে শিক্ষাব্যবস্থায় একটি নতুন ধারা তৈরি হবে। তিনি এই কর্মসূচিকে বর্তমান সময়ের একটি সাহসী প্রয়াস উল্লেখ করে বলেন, কর্মসূচির পাঠক সংখ্যা অনেক দেশের জনসংখ্যার চেয়েও বেশি।

তিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠাগারের জন্য নির্দিষ্ট অর্থ বরাদ্দ রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বিজ্ঞাপন

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, আমাদের দক্ষ ও যোগ্য মানুষ গড়ে তুলতে হবে। সেই সঙ্গে দক্ষতার শিক্ষা অর্জন করতে হবে। প্রত্যেকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার প্রতি তিনি জোর দেন।

এসএইচএস/জিকেএস

বিজ্ঞাপন