ভিডিও EN
  1. Home/
  2. শিক্ষা

নামী স্কুল-কলেজে শিক্ষা পণ্য কেনাবেচার পর্যায়ে গেছে

প্রকাশিত: ০২:০১ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান বলেছেন, দেশে শিক্ষার মান এবং স্কুল-কলেজের পরিবেশ বিবেচনায় খুব কম অভিভাবকই তার সন্তানকে স্কুলে পাঠিয়ে নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন। ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলো রাজধানী ঢাকা ও দেশের বড় শহরগুলোতে সীমাবদ্ধ। এসব স্কুলে সাধারণত ধনীদের সন্তানরা পড়াশোনা করতে পারে। অবশ্য, বাংলা মাধ্যমের হাতেগোনা কয়েকটি নামীদামি স্কুল-কলেজও গড়ে উঠেছে। তবে সেগুলোর একটি বড় অংশই ব্যক্তি খাতের। সেখানে ভর্তির পরে শুরু হয় টিউশন বাণিজ্য। এসব স্কুল-কলেজে শিক্ষাদান যেন পণ্য কেনাবেচার পর্যায়ে চলে গেছে।

আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ ব্যাংক উচ্চ বিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

গভর্নর আরো বলেন, প্রচলিত ধারার স্কুলে কোচিং সেন্টারের মতো শুধু পরীক্ষার বিষয়ই পড়ানো হয়। সহপাঠক্রমিক কোনো বিষয় তেমন একটা গুরুত্ব পায় না। এ ধরনের শিক্ষাব্যবস্থাকে ‘কেরানীগিরির কল’ আখ্যা দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ।

দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো কেমন হওয়া উচিৎ সে চিত্রও উঠে আসে গভর্নরের কথায়। তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমনভাবে গড়ে তোলা উচিৎ যেখানে ছাত্রছাত্রীরা আদর্শ শিক্ষা পাবে, স্কুল-কলেজের পরিবেশ হওয়া উচিৎ চমৎকার, ব্যবস্থাপনা হওয়া উচিৎ সুন্দর ও জবাবদিহিতামূলক। এ ধরনের সুশৃঙ্খল প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে খুবই সহায়ক। এগুলোর সবকিছুই বাংলাদেশ ব্যাংকের এই বিদ্যালয়ের রয়েছে বলে আমি মনে করি।  

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ আজ একটি উদীয়মান অর্থনীতির দেশ। বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। অর্থনীতির সূচকে আমরা আশাবাদী যে, নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ থেকে অচিরেই পুরোপুরি মধ্যম আয়ের দেশে উপনীত হতে পারবো। এই বিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তীর মাহেন্দ্রক্ষণে তরুণ শিক্ষার্থীদের কাছে আমার আহ্বান, তোমাদের যুগোপযোগী ও আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা গ্রহণ করে জাতীয় উন্নয়নের মূল নিয়ামক শক্তি হয়ে উঠতে হবে।

এনএম/এনএফ/এমএস