স্কুল-মাদরাসায় কেবিনেট নির্বাচন সোমবার
মাধ্যমিক স্কুল ও দাখিল মাদরাসায় কেবিনেট নির্বাচন আগামীকাল সোমবার (২১ মার্চ, ২০১৬)। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে এ নির্বাচন আয়োজন করছে বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস)। রোববার শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচনের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবেন।
ব্যানবেইস সূত্র জানায়, প্রতিটি স্কুলে আটজন সদস্য নির্বাচিত হবে। তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্ত সদস্যই হবে ওই স্কুলের প্রধানমন্ত্রী। এবারের নির্বাচনে স্কুলের সংখ্যা ১৬ হাজার ৪২৪ এবং মাদ্রাসা ছয় হাজার ৫৬৭টি। ২২ হাজার ৯৯১টি প্রতিষ্ঠান থেকে নির্বাচিত হবে এক লাখ ৮৩ হাজার ৯২৮ জন প্রতিনিধি। ভোটগ্রহণ চলবে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত। তবে আগমীকাল (সোমবার) যেসব উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন রয়েছে সেখানে এ নির্বাচন হবে ৩১ মার্চ।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ছাত্রছাত্রীদের প্রত্যক্ষ ভোটে আট সদস্যের এই স্টুডেন্টস কেবিনেট। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির যেকোনো শিক্ষার্থী প্রার্থী হতে পারবে। একজন ভোটার সর্বোচ্চ আটটি ভোট দেবে। এর মধ্যে প্রতি শ্রেণিতে একটি করে এবং যেকোনো তিন শ্রেণিতে সর্বোচ্চ দুটি করে ভোট দেওয়া যাবে। ফলে প্রতিটি শ্রেণি থেকে একজন করে প্রতিনিধি নির্বাচিত হবে। পাঁচ শ্রেণিতে পাঁচজন নির্বাচনের পর সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্ত তিন শ্রেণির আরো তিনজন নির্বাচিত হবে।
নির্বাচনী বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করবেন স্ব স্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। অন্যান্য নির্বাচনের মতোই ব্যালট বাক্স, ব্যালট পেপার, ভোটকেন্দ্র এবং বুথ থাকবে। তবে প্রার্থীদের কোনো প্রতীক দেওয়া হবে না। আর এই কেবিনেটের মেয়াদ হবে এক বছর।
স্টুডেন্টস কেবিনেটের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা প্রথম সভায় সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্ত প্রতিনিধিকে প্রধানমন্ত্রী বা প্রধান প্রতিনিধি নির্বাচিত করবে। একই সঙ্গে মন্ত্রিসভার আলোকে প্রত্যেকের দায়িত্ব বণ্টন এবং সারা বছরের কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে। পাশাপাশি প্রতিটি শ্রেণি থেকে দুজন করে সহযোগী সদস্য মনোনীত করা হবে। বিদ্যালয়ের প্রধান আটটি কার্যক্রমের দায়িত্বে নির্বাচিত আটজন প্রতিনিধি থাকবে।
দায়িত্বের ক্ষেত্রগুলো হলো- পরিবেশ সংরক্ষণ (বিদ্যালয়, আঙিনা ও টয়লেট পরিষ্কার এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা), পুস্তক ও শিখন সামগ্রী, স্বাস্থ্য, ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও সহপাঠ কার্যক্রম, পানিসম্পদ, বৃক্ষরোপণ ও বাগান তৈরি এবং দিবস ও অনুষ্ঠান উদ্যাপন।
এসব বিষয়ে ব্যানবেইসের গবেষণা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্কুল পরিদর্শন করেছি। সেখানে নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা কাজ করছে। কে কাকে ভোট দেবে এখন চলছে সেই হিসাব-নিকাশ। ছাত্রছাত্রীদের ব্যক্তিত্ব ও নেতৃত্বের বিকাশ এবং গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতেই এই নির্বাচনের আয়োজন।
স্টুডেন্টস কেবিনেট মাসে কমপক্ষে একবার সভা করবে। ছয় মাস পর পর সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতিতে সাধারণ সভা হবে। ২০১৫ সাল থেকে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দাখিল মাদ্রাসায় এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আর ২০১০ সাল থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একই আদলে নির্বাচন হয়ে আসছে।
এনএম/আরএস/এমএস
সর্বশেষ - শিক্ষা
- ১ প্রাথমিক শিক্ষকদের শাটডাউন স্থগিত, রোববার থেকে পরীক্ষা
- ২ আন্দোলন করা অসংখ্য প্রাথমিক শিক্ষককে ভিন্ন জেলায় বদলি
- ৩ পরীক্ষা না নেওয়ায় প্রাথমিক শিক্ষকের মাথা ফাটালেন অভিভাবকরা
- ৪ অধ্যক্ষ-প্রধান শিক্ষক নিয়োগে নতুন শর্ত, তৃতীয় বিভাগ থাকলেই অযোগ্য
- ৫ ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যারিয়ার ফেয়ার, অংশ নিলো ৬০ প্রতিষ্ঠান