ক্যারিয়ার নিয়ে দুশ্চিন্তায় ৫৫ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী
ফাইল ছবি
কর্মজীবন কেমন হবে, শিক্ষাজীবন থেকেই তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগেন বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়ারা। পাশাপাশি সামাজিক, অর্থনৈতিক, মানসিকসহ বিভিন্ন জটিলতায় অজান্তে মাথায় ঢুকে পড়ে আত্মহত্যার চিন্তা। মানসিক অস্থিরতা ও প্রতিকূল পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পেরে তাদের মাথায় এমন ভাবনা ডালপালা মেলে। শিক্ষাজীবনে অন্তত একবার হলেও আত্মহত্যা করার চিন্তায় ডুব দেওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছেই।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আঁচল ফাউন্ডেশনের সবশেষ জরিপ অনুযায়ী- বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৫২ জনেরও বেশি একবার হলেও আত্মহত্যার চিন্তা করেছেন।
সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ হাজার ৫৭০ জন শিক্ষার্থীর মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি নিয়ে জরিপ করেছেন। তাতে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
শুক্রবার (৭ জুন) দুপুরে ভার্চুয়ালি সংবাদ সম্মেলনে ‘বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির কারণ’ শীর্ষক জরিপের তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরা হয়।
জরিপের তথ্যানুযায়ী, অংশগ্রহণকারী মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন ৫ দশমিক ৯ শতাংশ। তাদের মধ্যে আত্মহত্যার উপকরণও জোগাড় করে ফেলেছিলেন এমন শিক্ষার্থী ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। আত্মহত্যার চিন্তা মাথায় এলেও কোনো চেষ্টা করেননি ৩৯ দশমিক ২ শতাংশ শিক্ষার্থী। আর কখনোই আত্মহত্যার চিন্তা মাথায় আসেনি এমন শিক্ষার্থী ৪৭ দশমিক ৬ শতাংশ।
জরিপে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫২ দশমিক ৪ শতাংশ শিক্ষার্থী জানিয়েছেন তাদের মাথায় অন্তত একবার হলেও আত্মহত্যার চিন্তা এসেছে। তাদের আত্মহত্যার ভাবনার পেছনে বেশ কিছু কারণও উঠে এসেছে। এরমধ্যে প্রধান কারণ হলো ক্যারিয়ার নিয়ে হতাশা।
জরিপে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের হতাশার বিভিন্ন কারণ উঠে এসেছে। মোট শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫৫.০০ শতাংশ শিক্ষার্থী জানিয়েছেন তারা ক্যারিয়ার নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন। এছাড়া বিভিন্ন কারণে নিজেকে অন্যদের সঙ্গে তুলনা করায় হতাশায় ভুগছেন ১৬ দশমিক ২ শতাংশ শিক্ষার্থী।
অপরদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা নিয়ে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ, হল বা আবাসিক পরিবেশ নিয়ে ৯ দশমিক ০০ শতাংশ, সহপাঠী বা শিক্ষক কর্তৃক বুলিংয়ের কারণে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ এবং উপর্যুক্ত সবগুলো কারণের জন্য ১ দশমিক ৬ শতাংশ শিক্ষার্থী হতাশাগ্রস্ত।
ফাউন্ডেশনটির এবারের জরিপে মোট ১ হাজার ৫৭০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। বয়সের সীমা অনুযায়ী ১৭-২২ বছর বয়সী শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন ৫৮০ জন, যা শতাংশের হিসাবে ৩৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ। ২৩-২৬ বছর বয়সী শিক্ষার্থী অংশ নেন ৯১৯ জন, যা শতাংশের হিসাবে ৫৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ। ২৭-৩০ বছর বয়সী শিক্ষার্থী অংশ নেন ৭১ জন, যা ৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
জরিপে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৭৫৬ জন পুরুষ, ৮১৩ জন নারী এবং একজন তৃতীয় লিঙ্গের। তাদের মধ্যে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ২৫১ জন, দ্বিতীয় বর্ষের ২৫৪ জন, তৃতীয় বর্ষের ৩৬৯ জন, চতুর্থ বর্ষের ৩৪০ জন এবং মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন ৩৪১ জন। এছাড়া সদ্য পড়ালেখা শেষ করা ১৫ জন।
এএএইচ/জেডএইচ/এমএস
সর্বশেষ - শিক্ষা
- ১ প্রাথমিক শিক্ষকদের শাটডাউন স্থগিত, রোববার থেকে পরীক্ষা
- ২ আন্দোলন করা অসংখ্য প্রাথমিক শিক্ষককে ভিন্ন জেলায় বদলি
- ৩ পরীক্ষা না নেওয়ায় প্রাথমিক শিক্ষকের মাথা ফাটালেন অভিভাবকরা
- ৪ অধ্যক্ষ-প্রধান শিক্ষক নিয়োগে নতুন শর্ত, তৃতীয় বিভাগ থাকলেই অযোগ্য
- ৫ ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যারিয়ার ফেয়ার, অংশ নিলো ৬০ প্রতিষ্ঠান