বইমেলায় একুশের উঁকি
আর দিন নয়, ক্ষণ গুণে অমর একুশের অপেক্ষা। শনিবার রাতেই পুষ্পে পুষ্পে ভরে যাবে শহীদ মিনার। ভাষা শহীদদের স্মরণে বাঙালির আবেগ যেন ধরে না। ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি এলেই সর্বস্তরের মানুষের মাঝে আবেগের ঘনঘটা। এই আবেগকে আরও উসকে দিয়েছে তিনদিনের সরকারি ছুটি।
শুক্রবারের মেলা। এ যেন মেলা নয়, জনসভা। পাঠক-দর্শনার্থীর পদচারণায় বাংলা একাডেমি আর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কানায় কানায় ভরে যায় বিকেলের মধ্যেই। এদিন সকালেই মেলার পর্দা উঠে। সকাল ১১টায় শিশু প্রহরের মধ্য দিয়ে বইমেলার কার্যক্রম শুরু হয়। 
আবেগকে আমলে নিয়েই ১৯৮৩ সালে প্রস্তুতি চলে অমর একুশে বইমেলার। স্বৈরাচার এরশাদের নিপীড়নের কারণে সে বছর মেলা অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। এর পরের বছর সে আবেগ আর আটকাতে পারেনি এরশাদের সামরিক সরকার। লেখক-প্রকাশক আর মুক্তমনাদের প্রচেষ্টায় যাত্রা শুরু করে একুশে বইমেলা।
সময়ের বিবর্তনে বাঙালির প্রাণের মেলায় রূপ নিয়েছে একুশে বইমেলা। আর ভাষার মাসের ২১ তারিখ ঘিরেই প্রতিবার মেলার চিত্র পাল্টে যায়।
২১ তারিখকে কেন্দ্র করেই লেখক-প্রকাশকরা নতুন নতুন বই নিয়ে আসেন। দর্শনার্থী আর পাঠকও মেলায় আসেন একুশের টানে।
শুক্রবার সকাল থেকেই জমে উঠে মেলা প্রাঙ্গণ। মেলার শেষ বেলা পর্যন্ত ছিল জনতার ঢল। বইয়ের কাটতিও হয়েছে সবচেয়ে বেশি। তিন দিনের সরকারি ছুটির কারণে অনেকেই মেলায় আসার বড় সুযোগ পেয়েছেন।
মিরপুর থেকে শিশু কন্যাকে নিয়ে মেলায় এসেছেন শামীমা আখতার। মেলা ঘুরে ঘুরে বেশ কয়েকটি বইও কিনেছেন তিনি। শামীমা আখতার বলেন, ভাষা দিবস তো এসেই গেল। মেলায় আসার আবেগ তো ওইদিনকে কেন্দ্র করেই। তাই বাচ্চাকে নিয়ে সকালে বের হয়েছি।
সময় প্রকাশনীর সত্ত্বাধিকারী ফরিদ আহমেদ বলেন, ২১ তারিখকে ঘিরেই আমাদের যত আয়োজন। আজ যে পরিমাণ পাঠক এসেছেন, তা ২১ তারিখকে স্মরণ করেই।
শুক্রবার কথাসাহিত্যিক জাফর ইকবালের একটি নতুন এনেছে সময় প্রকাশনী উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেষ ভালো যার সব ভালো তার। ২১ তারিখকে কেন্দ্র করেই বইটি আজ প্রকাশ করা হয়েছে। বিক্রিও হলো বেশ। আজ থেকেই মূলত মেলার সুবর্ণ সময়।
এএসএস/একে/এমএস