নির্মাতার দ্বিতীয় স্ত্রী থেকে কিংবদন্তি নায়িকা, সন্ধ্যার প্রয়াণ
সন্ধ্যা শান্তারাম। ছবি: সংগৃহীত
হিন্দি ও মারাঠি সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেত্রী সন্ধ্যা শান্তারাম মারা গেছেন। আজ (৪ অক্টোবর) শনিবার তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত নানান অসুখে ভুগছিলেন তিনি।
স্বনামধন্য চলচ্চিত্র নির্মাতা ভি শান্তরামের সঙ্গে পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে যান সন্ধ্যা। পরে তারা বিয়ে করেন। ভারতীয় চলচ্চিত্রের একাধিক কালজয়ী সৃষ্টি ‘অমর ভূপালি’, ‘নবরঙ’, ‘পিঞ্জরা’, ‘দো আঁখেন বরাহ হাত’, ‘ঝনক ঝনক পায়েল বাজে’র মতো ছবিগুলোতে কাজ করেছেন সন্ধ্যা। ‘নবরঙ’ ছবির ‘আরে যা রে হাট নাটখট’ গানের মধ্যদিয়ে তিনি দর্শকের স্মৃতিতে অমর হয়ে আছেন।
১৯৫১ সালে মারাঠি চলচ্চিত্র ‘ভূপালী’ দিয়ে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেন সন্ধ্যা শান্তারাম। এরপর ১৯৫৫ সালের মিউজিক্যাল ড্রামা ‘ঝনক ঝনক পায়েল বাজে’তে অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। রূপবতী ও প্রশিক্ষিত শাস্ত্রীয় নৃত্যশিল্পী হিসেবে তার কত্থক নৃত্য দর্শকদের মুগ্ধ করেছিল।
স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে সহকর্মীদের অনেকে বলেন, তার সময়ে কোনো পেশাদার কোরিওগ্রাফার ছিল না। সন্ধ্যা এবং পরিচালক ভি. শান্তারাম মিলে নাচের নতুন ভঙ্গি তৈরি করেছিলেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সন্ধ্যা এমন কিছু চরিত্রে অভিনয় করেন, যা প্রথাগত ও আধুনিক চলচ্চিত্রের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে। ভি শান্তারামও ছিলেন আপোসহীন নির্মাতা।
সন্ধ্যার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বিজেপি নেতা আশীষ শেলার সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, “পিঞ্জরা” সিনেমার প্রসিদ্ধ অভিনেত্রী সন্ধ্যা শান্তারামজির প্রয়াণের খবর অত্যন্ত দুঃখজনক। হিন্দি ও মারাঠি চলচ্চিত্রে তার অভিনয় ও নৃত্যশৈলী এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছিল। তার “ঝনক ঝনক পায়েল বাজে”, “দো আঁখেন বারাহ হাত”, বিশেষ করে “পিঞ্জরা” ছবিতে অভিনয় দর্শকদের মনে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। ঈশ্বর তার আত্মাকে চিরশান্তি দান করুন।’
আজ শনিবার শিবাজি পার্ক শ্মশানে সন্ধ্যার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। সেসময় উপস্থিত ছিলেন সন্ধ্যার পরিবার, বন্ধু ও অনুরাগীরা। ভারতীয় সিনেমায় সন্ধ্যা শান্তারামের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
আরএমডি