শিক্ষিত চোর পাত্রের সন্ধানে!
ছবি : আবু সুফিয়ান জুয়েল
ঢাকা শহরের বিত্তশালি বাড়ির মালিকের একমাত্র শিক্ষিত, রুচিশীল বিবাহযোগ্য কন্যার জন্য উপযুক্ত, শিক্ষিত ও সমাজে প্রতিষ্ঠিত পাত্র চাই। তবে সেই পাত্রের বিশেষ যোগ্যতা হতে হবে চুরি করা!
কর্মক্ষেত্রে বা জীবনের অভিষ্ট্য লক্ষ্যে পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে চুরিকেই পেশা হিসেবে নিয়েছে- এমন পাত্রের হাতেই কন্যা সমর্পিত হবে। এই বিজ্ঞাপন দিয়ে অপর্ণার বিয়ের জন্য তার বাবা পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েছেন! সেই বিজ্ঞাপন দেওয়ার পর থেকেই ছেলেদের লাইন পড়ে যায় অপর্ণার বাড়িতে। তারা কেউ ডাক্তার, কেউ ইঞ্জিনিয়ার আবার কেউ রাজনৈতিক নেতা। সত্যি তাই ঘটেছে ‘চাই শিক্ষিত চোর পাত্র’ নাটকে।
নাটকটি নির্মাণ করেছেন সকাল আহমেদ ও তানিম রহমানের গল্প ভাবনায় নাটকটির চিত্রনাট্য ও সংলাপ তৈরি করেছেন কামরুল হাসান। নাটকটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন, অপর্ণা, আরফান আহমেদ, সাঈদ বাবু প্রমুখ। নাটকে অপর্ণার বাবা চরিত্রে অভিনয় করেছন আল মনসুর। গেল সপ্তাহে রাজধানীর উত্তরার বিভিন্ন লোকেশনে নাটকটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।
নাটক প্রসঙ্গে সকাল আহমেদ বলেন, ‘অপর্ণার বাবা একজন পাত্রের সন্ধানে পত্রিকাতে বিজ্ঞাপন দেন। সেখানে তিনি একজন চোর পাত্র চেয়েছেন। বিজ্ঞাপনটি দেখে অনেক পাত্র অপর্ণার বাড়িতে হাজির হয়। রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে নানা পেশার পাত্র। এরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ পেশায় চুরির সঙ্গে জড়িত।
তবে অপর্ণা ভালোবাসেন মিলনকে। তাছাড়া সে খুবই সৎ একজন মানুষ। দুজন-দুজনকে নিয়ে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখেন তারা। কিন্তু অপর্ণার বাবার সাফ জবাব মেয়ের বিয়ের পাত্র হতে হবে শিক্ষিত চোর! তবে গল্পের শেষটা অন্যরকম। মন ছুঁয়ে যাবার মতোই। দর্শকরা সেটি উপভোগ করবেন বলেই বিশ্বাস।’
অভিনেতা মিলন বলেন, ‘ঈদের জন্য যে কয়টি কাজ করেছি তারমধ্যে ‘চাই শিক্ষিত চোর পাত্র’ নাটকটি অন্যতম। একেবারেই ভিন্নধর্মী গল্প নিয়ে এটি নির্মিত হয়েছে। কাজটি করে খুব ভালো লেগেছে। তাছাড়া সকাল ভাইয়ের নির্দেশনায় নাটক মানেই ব্যতিক্রম কিছু কাজ। আশা করছি নাটকটি দর্শকদের কাছেও ভালো লাগবে।’
অভিনেত্রী অপর্ণা বললেন, ‘আমাদের চারপাশের শিক্ষিত মানুষরা বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে জড়িত। তারা প্রতিনিয়ত প্রত্যেকেই নিজ নিজ স্থান থেকে কিছু না চুরি করছে। তারা আবার মুখোশ ধরে সমাজের সম্মানীয় স্থানেও বসে আছেন। এমন কিছু বিষয় আক্ষরিকভাবে গল্পের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার সৃষ্টি করা হয়েছে এ নাটকে। ভালো লাগার মতো একটি কাজ করেছি। দর্শকরাও মুগ্ধ হবেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘নাটকে সততার কোনো বিকল্প নেই- এই মেসেজটা দর্শকদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছি আমরা। আশা করি নাটকটি দেখে দর্শকরা অনেক কিছু শিখতে পারবেন।’
আগামী ঈদে চাই শিক্ষিত চোর পাত্র নাটকটি বৈশাখী টিভির পর্দায় প্রচারিত হচ্ছে।
এনই/এলএ/আরআইপি