ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিনোদন

চ্যানেল আইয়ে হুমায়ূন আহমেদের একজন মায়াবতী

প্রকাশিত: ০৯:৫৮ এএম, ১৮ মার্চ ২০১৫

জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের গল্প অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে ধারাবাহিক নাটক ‘একজন মায়াবতী’।

অরুণ চৌধুরীর চিত্রনাট্যে নাটকটি নির্মাণ করেছেন মাজহারুল ইসলাম ও মেহের আফরোজ শাওন। ৬০ পর্বের এই ধারাবাহিকটি ২২ মার্চ থেকে চ্যানেল আইতে প্রচার হবে প্রতি সপ্তাহের রবি ও সোমবার রাত ৯.৩৫ মিনিটে।

নাটকটির প্রচার উপলক্ষে চ্যানেল আইতে আজ, ১৮ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সূচনা বক্তব্য রাখেন চ্যানেল আই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, রামেন্দু মজুমদার নাটকটির নির্মাতা আরো উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ হাসান ইমাম, সাংবাদিক রেজানুর রহমান, অভিনেতা সোহেল খান।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, হুমায়ূন আহমেদের প্রতি চ্যানেল আই’র ভালোবাসা ও সহযোগিতা ছিলো অপরিসীম। চ্যানেল আই’র বিশেষ সংযোগিতার ফলে এধরণের একটি নির্মাণ সম্ভব হয়েছে। হুমায়ূন আহমেদের ইচ্ছাই নাটকটি মাজহারুল ইসলাম নির্মাণ করেছেন। যেটি নির্মাণ হওয়ার কথা ছিলো ২০১০ সালে। এ সময় নাটকটির কিছু অংশবিশেষ দেখানো হয়েছে।

নাটকটির লোকেশন সম্পর্কে নির্মাতা বলেন, অতীতে দেখানো হয়নি এমন কিছু লোকেশন ও বাড়ি এ নাটক নির্মাণে ব্যবহার হয়েছে। ধারাবাহিকটির শুটিং হয়েছে উত্তরা, ধানমন্ডি, হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গ্রীনরোড, ধামরাই, মধ্যবাড্ডাসহ রাজধানীর বিভিন্ন লোকেশনে।

নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মাহফুজ আহমেদ, সুমাইয়া শিমু, আনিসুর রহমান মিলন, ফারহানা মিলি, শহিদুজ্জামান সেলিম, হাসান ইমাম, রোজী সিদ্দিকী, মামুনুর রশিদ, সোহেল খান, আবদুল­াহ রানা, তানভীর হোসেন প্রবাল, টুনটুনি প্রমুখ।

একজন মায়াবতীর গল্পে দেখা যাবে, অন্তর্মুখী এক যুবক মনজুর। সংসারে ওর কেউ নেই। বাবা-মা মারা গিয়েছেন। আপন বলতে রয়েছেন এক মামা। কিছুটা বাউণ্ডুলে প্রকৃতির। এই মনজুরের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল বড়লোকের মেয়ে মীরার। সন্তানও হয়েছিল। কিন্তু সেই সন্তান যেমন বাঁচেনি, তাদের বিয়েও টিকেনি। সমঝোতার ভিত্তিতেই তিন বছর পর ওদের ডিভোর্স হয়ে গিয়েছিল।

এদিকে মনজুরের শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। তার একটি কিডনি অনেক আগেই কেটে ফেলা হয়েছে আর অন্যটি অসুস্থ। এইজন্য মনজুরকে প্রায়ই হাসপাতালে যেতে হয়। ডাক্তার তাকে কিডনি ট্রান্সফারের কথা বলেছে। মতিঝিলের যে অফিসে মনজুর বসে, সেটি ওর এক বন্ধুর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। যদিও এটি গড়ে তুলতে অমানুষিক পরিশ্রম করেছে মনজুর। সেই পরিশ্রমের ফল অবশ্য সে পেয়েছে। বন্ধু আফসার তাকে ব্যবসায়িক পার্টনার করেছে। মনজুরকে কোম্পানির ৫১% শেয়ার লিখে দিয়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে।

মনজুরের সঙ্গে ডিভোর্সের কিছুদিন পর আচমকা মীরার সঙ্গে যোগাযোগ হয় মঈনের। মীরার খালাতো ভাই। কিশোর বয়সে তাদের মধ্যে এক ধরনের ভালোলাগার সম্পর্ক ছিল। কিছুদিন পর মঈন আমেরিকায় চলে যায়। সেখানকার এক মেয়েকে বিয়ে করে। কিন্তু তার সংসারও বেশি দিন টিকেনি। মঈন তাই মীরার সঙ্গে আবার নতুন করে সম্পর্ক গড়ে তুলতে চেষ্টা করে। তাকে আপন করে পেতে চায়।

জাহানারা, মনজুরের অফিসের এক কর্মী, যার চাকরি হয়েছিল মনজুরের জন্য। তার হৃদয়ে জ্বলজ্বল করছে মনজুর। মনজুরের জন্য তার অনেক মায়া। মনজুর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে জাহানারা ছুটে যায় তাঁর পাশে। বাড়ি থেকে খাবার রান্না করে নিয়ে আসে মনজুরের জন্য। ছোট ভাইকে রাতে হাসপাতালে মনজুরের দেখাশোনার জন্য রেখে যায়। মনজুর জাহানারার এই সহযোগিতাকে মেনে নিতে চায় না। বিরক্ত হয়।

নাটকের শেষ পর্যায়ে দেখা যাবে মনজুর আবারও হাসপাতালে ভর্তি হয়। ডাক্তার বলেছে দ্রুত কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট না করলে মনজুর বাঁচবে না। জাহানারা ও মনজুরের মামা কিছুতেই মনজুরকে কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করাতে রাজি করাতে পারে না। জাহানারার মনে হয়, মনজুরের প্রাক্তন স্ত্রী মীরার কথায় মনজুর রাজি হবে। জাহানারা ছুটে যায় মীরার কাছে। এদিকে মীরার ধারণা মনজুর জাহানারাকে ভালোবাসে। কিন্তু মীরা বুঝতে পারে যে, মনজুরের মধ্যে এখনো মীরার প্রতি ভীষণ মায়া। মনজুরের জন্য মীরারও রয়েছে প্রচণ্ড মায়া। তাই একপর্যায়ে জাহানারার সাথে সে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেয়। বাকীটুকু দেখতে চোখ রাখতে হবে চ্যানেল আইয়ের পর্দায়।

এলএ/আরআই