ফরাসী সুন্দরীর মাথায় মিস ইউনিভার্সের মুকুট
এ বছরের মিস ইউনিভার্স নির্বাচিত হয়েছেন ২৪ বছর বয়সী ফ্রান্সের আইরিস মিত্তেনায়ের। এর মধ্য দিয়ে `মিস ইউনিভার্স` খেতাব জয়ে ফ্রান্সের ৬৩ বছরের খরা ঘুচলো। তার আগে অভিনেত্রী ক্রিশ্চিয়ানে মার্টেল, ১৯৫৩ সালে ফ্রান্সের হয়ে সর্বশেষ এই খেতাব জিতেছিলেন। মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা আয়োজনের দ্বিতীয় বছরেই সেই খেতাব জিতেছিলেন তিনি।
প্রতিযোগিতার এবারের ৬৫তম আসর সোমবার ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর ৮৫ জনকে পেছনে ফেলে সম্মানজনক এ খেতাব জিতলেন মিত্তেনায়ের।
২৪ বছর বয়সী আইরিস মিত্তেনায়ের পড়াশোনা করছেন ডেন্টাল সার্জারি বিষয়ে।
খেতাব জেতার পর মিত্তেনায়ের বলেন, আমার জন্য ব্যাপারটা চমকের মতো। আমি ভীষন আনন্দিত। মিস ইউনিভার্স একটা স্বপ্ন! প্রতিটি মেয়েই মিস ইউনিভার্স হতে চায়। স্টেজটা দুর্দান্ত ছিল। সবকিছুই অসাধারণ।
তিনি আরও বলেন, আমি মানুষকে সাহায্য করতে ভালোবাসি। মানুষকে আমি বুঝতে চাই, মানুষের সঙ্গে মিশতে চাই। এ কারণেই এটা আমার স্বপ্ন ছিল।`
অনুষ্ঠানের মূল পর্বের প্রশ্ন-উত্তর পর্বে আইরিস মিত্তেনায়ের শরণার্থীদের জন্য ফ্রান্সের সীমানা উন্মুক্ত করে দেয়ার জন্য প্রশংসা করেন। এ প্রসঙ্গে বিচারকদের তিনি বলেন, আমরা চাই, ফ্রান্সে যতদূর সম্ভব বিশ্বায়ন করতে। আমরা যত পারি মানুষের আদান-প্রদান করতে চাই। দেশের সীমানা মুক্ত। আর এই মুক্ত সীমান্ত বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় যেতে অনুমতি দিচ্ছে আমাদের। বিশ্বের কোথায় কী হচ্ছে, জানতে পারছি আমরা।
তার এই উত্তর চমকে দেয় বিচারকদের। বিচারক প্যানেলে উপস্থিত থাকা সাবেক মিস ইউনিভার্স সুস্মিতা সেন আইরিসের উত্তরে মুগ্ধ হয়ে বলেন, এই মুহূর্তে একজন মিস ইউনিভার্স পেয়ে গিয়েছি। তিনি সময়োপযোগী দারুণ একটি উত্তর দিয়েছেন।
`সুইমস্যুট` রাউন্ডে এসে ১৩ জন প্রতিযোগীকে বাছাই করা হয় ফাইনাল রাউন্ডের জন্য। সেখান থেকে `ইভনিং গাউন` পর্বে এসে ৯ জন টেকে। সবশেষে ৬ জন প্রতিযোগী ফাইনাল রাউন্ডে অংশ নেয়।
হাইতির রাকেল প্রথম রানার আপ ও কলম্বিয়ার আন্দ্রেয়া তোভার দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছেন।
নতুন `মিস ইউনিভার্স` আইরিস মিত্তেনায়েরের পড়াশোনা ডেন্টাল সার্জারি বিষয়ে। ২০১৬ সালে তিনি `মিস ফ্রান্স` নির্বাচিত হন। গ্রাজুয়েশন শেষ করে তিনি একজন `ডেন্টিস্ট`ই হতে চান। সূত্র : ওয়েবসাইট
এমএমজেড/পিআর