শুটিংয়ে মডেলকে ধর্ষণ চেষ্টায় গ্রেফতার পরিচালক
প্রতীকী ছবি
মিডিয়ায় কাজ করার স্বপ্ন নিয়ে তরুণরা সবসময়ই উৎসাহী। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষে কাজ করতে গিয়ে তাদের বেশিরভাগই প্রতারণার শিকার হন। এই যেমনটি ঘটেছে মায়িশা খান নামে এক নবাগত মডেলের বেলায়।
জানা গেছে, ১৮ বছর বয়সী এই তরুণীকে বিজ্ঞাপনের শুটিং ইউনিটে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। শুটিং স্পট হিসেবে পরিচিত গাজীপুর সদর উপজেলার ভাওয়াল গড় ইউনিয়নের হোতাপড়ায় অবস্থিত খতিব খামারবাড়ীতে গত ১২ জুলাই রাতে এ ঘটনা ঘটে।
এতে পরিচালকসহ ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তাকৃতরা হলেন- বরিশালের আকবর হোসেন রাজিব (টাইগার রাজিব) নরসিংদীর আবুল কালাম আজাদ, চাঁদপুরের মো. আলম, চাপাইনবাবগঞ্জের ওমর ফারুক,পাবনার রেন্টু, বিনাইদহের জুম্মান, ময়মনসিংহের খলিল, কুমিল্লার হিমেল ও নরসিংদীর শুভ।
হোতাপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সূত্রে বিস্তারিত জানা গেল, সুরেশ খাঁটি সরিষার তেলের বিজ্ঞাপনের মডেল হয়ে কাজ করতে গিয়েছিলেন মাইশা। এটির পরিচালক ছিলেন টাইগার রাজিব।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, রাত সাড়ে ৮টা বা তার কাছাকাছি সময়ে মডেল মাইশা শুটিং স্পটের একটি কক্ষে অবস্থান করছিলেন। সেসময় পরিচালক টাইগার রাজিব ও তার সহকারী আজাদ তার কক্ষে ঢুকে ঘরের দরজা আটকে দেয় এবং অন্যরা বাইরে অবস্থান করে। এরপর রাজিব ও আজাদ সেখানে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় তিনি চিৎকার দেন এবং কৌশলে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন। এরপর তিনি তার স্বজনদের মোবাইল ফোনে ঘটনাটি জানান। পরে স্বজনরা ঘটনাটি পুলিশে জানালে পুলিশ ওই মডেলকে উদ্ধার করে। সেই সঙ্গে নয় যুবককে আটক করে।
গ্রেফতারকৃতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন শোবিজের মানুষেরা। তারা বলেন, নতুন নতুন ছেলে মেয়েদের মিডিয়ায় কাজ করে দেয়ার নামে যারা অপরাধ করছে তাদের সমূলে প্রতিহত করতে হবে। নইলে ভাবমূর্তি নষ্ট হবে দেশের মিডিয়াভুবনের।
এলএ/এমএস