ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিনোদন

রোজার মাস হলো সবচেয়ে শান্তির সময় : কেয়া পায়েল

বিনোদন প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১২:৩৩ পিএম, ২৯ এপ্রিল ২০২১

তারকাদের ধর্ম পালন নিয়ে তাদের ভক্তদের অনেক কৌতূহল। মুসলিম তারকারাও রোজা রাখেন। রোজা নিয়ে শুটিং করেন, ব্যস্ত থাকেন নানা রকম ধর্মীয় প্রার্থনায়। আর সবার মতো তাদেরও আছে রোজা রাখার অনেক মজার স্মৃতি। তাদের ভিড়ে ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী কেয়া পায়েল জানালেন রোজা নিয়ে তার দর্শন ও উপলব্ধির কথা। নস্টালজিক হয়ে মজার ছলে বললেন শৈশবে রোজা রাখার অনেক গল্প।

জাগো নিউজ : প্রথম কবে রোজা রেখেছিলেন মনে পড়ে?
কেয়া : অনেক ছোট থাকতে৷ ম্যা বী নার্সারি ওয়ানে৷ রোজা রাখলে ফিল করতাম বিশাল কিছু করেছি। বাড়ির লোকেরা চাইতেন না। লুকিয়ে লুকিয়ে রোজা রাখতাম। খুব উত্তেজনা কাজ করতো৷ ঈদ আসবে৷ এসব ভেবে বলা চলে যখন থেকে বুঝতে শিখেছি তখন থেকেই রোজা রাখতাম। মনে পড়ে শবে বরাতের রোজা রাখার অভ্যাসটাও অনেক ছোটবেলা থেকেই গড়ে উঠেছে।

জাগো নিউজ : শৈশবের সেহরী বা ইফতারের দিনগুলো কেমন ছিলো?
কেয়া : খুব৷ অনেক মিস করি সময়গুলো। শৈশবের সেহরী তো খুবই মজার ছিলো। বাবা-মা বকা দিতেন৷ কেন উঠেছি৷ রোজা রাখলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে৷ কারণ তখন আমি খুবই ছোট৷ তাই বাবা-মা চাইতেন না। কিন্তু আমি তো রোজা রাখবোই। সেজন্য সেহরীতে খাবার লুকিয়ে রাখতাম৷ বাবা মা উঠার আগেই খেয়ে নিতাম। ভিষণই মজার দিন ছিলো।

আর ইফতারিতে ছোটবেলায় একটা বিষয় খুব মজা হতো৷ এখনো অনেক সময় হয় যখন বন্ধুদের সঙ্গে থাকি৷ ইফতারির জাস্ট দুই এক মিনিট আগে সবাই এমন একটা কিছু করবে যেন আমি ইফতার করে ফেলি৷ তো আমি খাওয়ার পর শুনি যে আজান হচ্ছে। এই দুষ্টুমিগুলো মনে পড়ে৷

জাগো নিউজ : শৈশবের সঙ্গে এখনকার রোজা রাখার মধ্যে কী পার্থক্য পান?
কেয়া : ছোটবেলায় ক্লাশ থাকতো, ছোট মানুষ। রোজা রাখতে দিতো না৷ কষ্ট হবে। দুর্বল হয়ে পড়বো৷ তাই তারা বলতেন যে রোজ দুইটা রোজা রাখা যায় দুইবেলা খেয়ে। মানে আমি যেন রোজা ভেঙে ফেলি৷ অনেক সময় ক্ষুধায় বড়দের কথা মেনে দুইবার খেয়েই রোজা রাখতাম৷ এই বিষয়টা এখন মনে পড়লে হাসি আসে৷ আসলে তখন রোজা রাখার উত্তেজনা ছিলো মূলত ঈদকে কেন্দ্র করে৷ তাছাড়া বড়দের সাথে সেহরী ও ইফতার করবো সেই সুযোগের আশাতেও রোজা রাখার জন্য পাগল ছিলাম। বাট এখন রোজা মানে হচ্ছে একজন মুসলমান হিসেবে দায়িত্ব ও কর্তব্য৷

jagonews24

জাগো নিউজ : রোজার দিনগুলোতে আপনার খাবার তালিকাটা কেমন?
কেয়া : সেহরীতে সবসময় আমি হেলদি ফুড রাখার চেষ্টা করি। কারণ সারাদিন রোজা রাখি৷ এখন তো আবহাওয়া খারাপ৷ পানির পিপাসা থাকে৷ সারাদিন কাজ থাকে৷ অনেক ক্যালরি বার্ন হয়ন তাই হেলদি ফুড খাই৷

আর ইফতারে মাশাল্লাহ, সব খাই৷ ভাজাপোড়া যা থাকে৷ যদিও চাই না খেতে৷ তবু পারা যায় না। ইফতারের খাবারগুলোর একটা ঐতিহ্য আছে আমাদের দেশে৷ ইচ্ছে করে সবই একটু একটু করে খাই৷

তবে স্পেশালি বলবো ইফতারিতে আমার প্রিয় মেন্যু হালিম। আর সেহরীতে যাই খাই যে কোনো একটা জুস রাখার চেষ্টা করি।

জাগো নিউজ : রোজার মাসে আপনার উপলব্ধি কী?
কেয়া : আমার কাছে রোজা মানেই শান্তি৷ এটা নিজের ভেতরের একটা ফিলিংস৷ যারা রোজা রাখেন, নামাজ পড়েন তারা অন্যরকম শান্তি টের পান৷ আমার মনে হয় যারা সঠিকভাবে রোজা রাখে তারা ক্রাইম করতে পারে না৷ নিজের মধ্যেই নিজেকে দমন করে রাখার তাগিদ তৈরি হয়। যারা তারাবীহ পড়তে পারে, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে পারে এবং পরিবারকে সময় দিতে পারে আমার মনে হয় তাদের কাছে এই একটা মাস বেস্ট সময় যায়। যারা রোজা রাখেন এটা তারা জানেন যে রোজার মতো শান্তির মাস আর হয় না৷ রোজার মাস অনেক শান্তির একটা সময়।

জাগো নিউজ : করোনা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে সারা দুনিয়ার মানুষ৷ লকডাউন চলছে কয়েক সপ্তাহ ধরে৷ এবারের ঈদ উপলক্ষে কাজ করতে পেরেছেন?
কেয়া : কিছু কাজ করেছি। টুকটাক৷ যে সেটগুলোকে নির্ভর করতে পারছি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে বলে দেখি তাদের সাথে কাজ করেছি, করছি৷ যতটুকু মেইনটেইন করা যায় আর কি। আসলে জীবনের তাগিদে তো সবাই কিছু না কিছু কাজ করছেন, বাইরে যাচ্ছেন৷ আমিও চেষ্টা করছি সাবধানে কাজ করতে৷

জাগো নিউজ : ঈদে কতগুলো নাটকে দেখা মিলবে?
কেয়া : ঈদে সবমিলিয়ে ১৫টির মতো নাটক প্রচার হবে। আপাতত এমনটাই প্রত্যাশা করছি৷ দেখা যাক৷

এলএ/এমকেএইচ