ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিনোদন

নারীকেন্দ্রীক বলিউডের সেরা ১০ ছবি

প্রকাশিত: ০১:০৫ পিএম, ০৮ মার্চ ২০১৬

রুপালী পর্দার ছবি মানেই দর্শকের চোখে ভেসে আসে নায়কের অতিমানবীয় কাজকর্ম। আর উপমহাদেশে সে মাত্রাটা একটু বেশিই। তবে বিভিন্ন সময় চলচ্চিত্রের প্রধান চরিত্রে নারীদেরকেও দেখা গেছে মুগ্ধতা ছড়াতে। নারীকেন্দ্রিক এই ছবিগুলোর ব্যবসায়িক সাফল্যও অবাক করার মতো। তাই আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে জাগো নিউজের পাঠকদের জন্যে বলিউড ইতিহাসে নারী কেন্দ্রিক সেরা ১০ দশটি চলচ্চিত্রের আদ্যোপান্ত তুলে ধরা হলো-

মাদার ইন্ডিয়া
ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে নারী কেন্দ্রিক চরিত্র নিয়ে নির্মিত ‘মাদার ইন্ডিয়া’ ছবিটিকে ধরা হয় সব সময়ের সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে। নার্গিস দত্ত অভিনীত এ ছবিটি আশির দশকে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে বলিউড জুড়ে। ছবিটিতে নার্গিস অভিনয় করেন রাধা নামের একজন গ্রাম্য নারীর চরিত্রে। যেখানে রাধাকে দেখানো হয়- সবসময় সত্য ও সুন্দরের জন্য লড়াই করা এক নারী হিসেবে। আর সেই সত্যের বিজয়ের জন্য নিজের ছেলেকেও মৃত্যুদন্ড দেন রাধা। যিনি কিনা এমন ন্যায় বিচারের জন্য গ্রাম জুড়ে মাদার ইন্ডিয়া খেতাব পান।

Bollywood

দামিনী
অসাধারণ পারিবারিক কাহিনি নিয়ে নির্মাণ করা হয় দামিনী ছবিটি। যাতে দামীনির নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন অভিনেত্রী মীনাক্ষী শীশাদ্রি। সহজ সরল দামিনীর বিয়ে হয় সম্ভ্রান্ত এক বিত্তশালি পরিবারে। আর বিয়ের পর পরই দামিনী তার দেবরের হাতে শারীরিক নিগ্রহের স্বীকার হন। আর তার প্রতিবাদ করতে গেলেই তাকে তার স্বামী সংসার থেকে ছুঁড়ে ফেলা হয়। তবুও দামিনী ন্যায় বিচারের প্রত্যাশায় ঘুরে দাঁড়ায়।

চাঁদনী বার
মুম্বাইয়ের আন্ডারওয়ার্ল্ডের কাহিনি অবলম্বনে নির্মাণ করা হয় ‘চাঁদনী বার’। ছবিটিতে বার ড্যান্সার হিসেবে অভিনয় করেন বলিউড তারকা টাবু। ছবির এক পর্যায়ে টাবু এক গ্যাংস্টারের সন্তানের মা হন। কিছুদিন পরই গ্যাংস্টার পুলিশি এনকাউন্টারে মারা পড়েন। তারপরই শুরু হয় পিতৃহীন সন্তান নিয়ে টাবুর একা একা জীবন সংগ্রামের গল্প। ছবিটিতে বেশ খোলামেলা দৃশ্যে অভিনয় করে তাক লাগিয়ে দেন টাবু।

জুবেইদা
সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত জুবেইদা ছবিটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন কারিশমা কাপুর। জুবেইদা ছিলেন বলিউডের স্বল্পকালীন নায়িকা। এক বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তিনি। তবে সে দুর্ঘটনার আগেই আর ছিলো বিবাহবহির্ভুত প্রেমের সম্পর্ক। আর সে ঘটনা নিয়েই নির্মিত হয় জুবেইদা ছবিটি।

লজ্জা
নারীকেন্দ্রীক ছবি হিসেবে ৯০ এর দশকে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছিলো এক ঝাঁক তারকা অভিনীত ছবি ‘লজ্জা’। ছবিটিতে একই সাথে কাজ করেন মনীষা কৈরালা, মাধুরী দিক্ষীত, মহিমা চৌধুরী ও চির সবুজ নায়িকা রেখা। ছবিটিতে ভারতীয় সমাজে নারীর প্রতি পুরুষের আগ্রাসন ফুটিয়ে তোলা হয়েছিলো। ছবিটিতে মনীষা কৈরালার স্বামী হিসেবে অভিনয় করেন জ্যাকি শ্রফ।

ব্যান্ডিট কুইন
‘ব্যান্ডিট কুইন’ গল্প অবলম্বনে নির্মিত হয় এই ছবিটি। ফুলন দেবীর বৈচিত্রময় জীবন ফুটিয়ে তোলা হয় ‘ব্যান্ডিট কুইন’ ছবিটিতে। যিনি কিনা ডাকাতি করে লুট করা মালামাল ভাগ করে দিতেন ভারতের গরীব জনগণের মাঝে। অনেকটা আধুনিক যুগের রবিন হুডের কাজটাই করতেন ফুলন দেবী।

ডার্টি পিকচার
দক্ষিণের নায়িকা সিল্ক স্মিতার জীবনী নিয়ে বানানো ‘ডার্টি পিকচার’ ছবিটি বলিউডে নারী কেন্দ্রিক চলচ্চিত্র গুলোর ভেতর সবচেয়ে বেশি আলোচিত হওয়া ছবি। এই ছবিতে সিল্ক স্মিতার চরিত্রে অভিনয় করে বিদ্যা বালান সম্ভাব্য সকল পুরস্কার জিতে নেন। ছবিটিতে খোলামেলা পোশাকে অভিনয় করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন বলিউড গ্ল্যামার বিদ্যা। ৮০’র দশকে সিল্ক স্মিতার ক্যারিয়ারের উত্থান পতনের গল্পগুলোই স্থান পেয়েছে ডার্টি পিকচারে।

সাত খুন মাফ
সমালোচকরা বলে থাকেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া সেরা কাজটা নাকি ‘সাত খুন মাফ’ ছবিতে করে ফেলেছেন। ছবিটি মূলত রাসকিন বন্ডের লেখা ‘সুসান সেভেন হাজব্যান্ড’ গল্প অবলম্বনে নির্মিত। ছবিটিতে প্রিয়াঙ্কাকে দেখা যায় সিরিয়াল কিলারের ভূমিকায়! যে কিনা প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে একে একে খুন করে তার সাতজন স্বামীকে। ছবিটি বেশ কয়েকটি ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন পুরস্কার জেতে।

কাহানি
বিদ্যা বাগচী নামে এক গর্ভবতী নারী ভারতে আসেন তার স্বামীকে খুজতে। আর সে জন্য শরন্নাপন্ন হন পুলিশের। কিন্তু পুলিশ তার স্বামীকে খুঁজতে গিয়ে অনেকটা কেঁচো খুড়তে সাপ বেরিয়ে পড়ার মতো অবস্থায় পরে। বলছিলাম কাহানি ছবির কাহিনি। পুরো ছবিটি একাই বিদ্যা বালান তার অভিনয় নৈপুন্য দিয়ে টেনে নেন। বিদ্যা বাগচী ছিলো ছবিটির কেন্দ্রীয় মূল চরিত্র।

ফ্যাশন
২০০৮ সালে মুক্তি পায় মধুর ভান্ডারকার পরিচালিত ছবি ‘ফ্যাশন’। সেসময় ছবিটি বলিউডের মডেল জগতে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে। ছবিটিতে অভিনয় করেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, কঙ্গনা রানাওয়াত ও সোফিয়া হায়াতসহ আরো অনেকেই। ছবিটিতে মূলত মডেলিংয়ে নারী মডেলদের নিগৃহের একটা চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়।

আরএএইচ/এলএ/এমএস