শিল্পকলা পদক প্রদান ৫ মে
বাঙালি জাতির প্রতিটি সংগ্রাম, আন্দোলন ও অর্জনে এদেশের শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীরা নাটক, সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি, ফটোগ্রাফি ও চিত্রকর্মসহ শিল্পের নানা শাখার মাধ্যমে অপরিসীম অবদান রেখেছেন।
হাজার বছরের সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের লালন, ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় সচেতনতা তৈরিতে এখনও কাজ করে চলেছেন আমাদের শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীরা। বাংলাদেশকে ভালবেসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখতেও শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীদের অবদান অসামান্য।
সেইসব গুণী মানুষদের সম্মান জানাতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ২০১৩ সাল থেকে প্রদান করছে ‘শিল্পকলা পদক’। প্রতি বছর সংস্কৃতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ ৭ জন গুণী শিল্পীকে এই পদক প্রদান করা হয়।
তারই ধারাবাহিকতায় আগামী বৃহস্পতিবার, ৫ মে ৩টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে ‘শিল্পকলা পদক ২০১৫’ প্রদান করা হবে। এ উপলক্ষে আয়োজিত হবে বর্ণাঢ্য এক অনুষ্ঠান।
সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পদকপ্রাপ্তদের হাতে পদক তুলে দেবেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
সংস্কৃতিসচিব মমতাজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক জনাব লিয়াকত আলী লাকী।
পদক প্রদান ২০১৫ এবং আলোচনা শেষে আয়োজন করা হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এর আগে ২০১৩ সালে শিল্পকলা পদক পেয়েছেন যথাক্রমে নৃত্যকলায় আমানুল হক, যন্ত্রসংগীতে ওস্তাদ মতিউল হক খান, লোকসংস্কৃতিতে সাইদুর রহমান বয়াতী, চারুকলায় সমরজিৎ রায় চৌধুরী, কন্ঠসংগীতে ফাহমিদা খাতুন, চলচ্চিত্রে মানজারে হাসীন (মুরাদ) এবং নাট্যকলায় খালেদ খান।
পরের বছর ২০১৪ সালের শিল্পকলা পদকপ্রাপ্তরা হলেন কণ্ঠসংগীতে অমরেশ রায় চৌধুরী, যন্ত্রসংগীতে (তবলা) মদন গোপাল দাস, চারুকলায় সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদ, নাটকে লাকি এনাম, আবৃত্তিতে আশরাফুল আলম, নৃত্যে বজলুর রহমান বাদল এবং ফটোগ্রাফিতে ড. শহীদুল আলম।
এলএ/এবিএস