কাগজ শিল্পের আদি কথা
কাগজ বর্তমান সভ্যতার গুরুত্বপূর্ণ শিল্প পণ্য
ড.ফোরকান আলী
কাগজ বর্তমান সভ্যতার গুরুত্বপূর্ণ শিল্প পণ্যের একটি। বই, ম্যাগাজিন, সংবাদপত্র, ইত্যাদি ছাপার অপরিহার্য উপাদান কাগজ। লেখার অন্যতম উপকরণ ছাড়াও কাগজের হাজারো ব্যবহার রয়েছে। লেখা ও ছাপার কাগজ না থাকলে শিল্প কারখানা, সরকার ও অচল হয়ে পড়বে। পৃথিবীর প্রতিটি সভ্য দেশে কাগজের ব্যবহার রয়েছে। কাগজ ছাড়া সভ্যতাকে কল্পনা করা যায়না। শিল্প ও সভ্যতার বাহন রূপে কাগজের গুরুত্ব অপরিসীম।
বর্তমানে আমরা নানাবিধ কাজে কত উন্নতমানের কাগজই না ব্যবহার করে থাকি। অফসেট কাগজ, ডুপ্লিকেটিং কাগজ, নিউজ প্রিন্ট, দেওয়াল, টিস্যু, টয়লেট, চোষ কাগজ ছাড়াও বই, খাতা, খাম, কার্ড, ফাইল কার্টুন, ব্যাগ, প্যাকেট, নোট (মুদ্রা) তৈরিতে রকমারি কাগজ আমাদের নজর কাড়ে। এখনকার রূপপ্রকৃতির কাগজের একদিনে আবির্ভাব হয়নি। এর পেছনে রয়েছে এক চমকপ্রদ ইতিহাস। আদিকালে মানুষ কিরূপ পাত্রে লেখার কাজ চালিয়ে যেতেন সেই গোড়ার কথা অল্প-স্বল্প বলার আমার এ প্রয়াস। প্রথমে আসে প্যাপিরাস-এর প্রসঙ্গ। এই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অ্যাহেমস নামক একজন লিপিকার সম্বন্ধেও উল্লেখ করতে হয়।

প্যাপিরাস হচ্ছে প্রাচীন মিশরে সাইপ্রাস প্যাপিরাস নামক নলখাগড়া জাতীয় জলজ উদ্ভিদ থেকে তৈরি এক ধরনের কাগজ। এই উদ্ভিদকে লম্বালম্বিভাবে খুব পাতলা ফালি বানিয়ে ঘন সন্নিবদ্ধ করে পাশাপাশি পেতে রাখা হতো। এর উপর আরেক পরত বা স্তর পাতলা ফালি আড়াআড়িভাবে বিছিয়ে রোদে শুকাতে দেওয়া হতো। রোদের তাপে ফালি থেকে নি:সৃত রস দুই স্তরকে একত্রে জুড়ে লেখার উপযোগী একধরনের অমসৃণ লালচে চাদর বা তুলট কাগজের রূপ দিতো। একেই বলা হতো প্যাপিরাস। এ কাগজে খাগড়ার তৈরি কলম দিয়ে লেখা হতো। আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ১৬৫০-এ অ্যাহেমস নামে একজন লিপিকার গণিতের একটি পুরোনো পাণ্ডুলিপির অনুলিপি প্যাপিরাস কাগজে পুস্তিকাকারে প্রকাশ করেন। অ্যাহেমস-এর নামানুসারেই এ পুস্তিকার নামকরণ করা হয়।
পরিশেষে দু’টি কথা, আধুনিক বিজ্ঞানের অভিযাত্রায় কাগজের গুণগত মান বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে লেখার নান্দনিক উপকরণ কালি, কলমেরও যুগান্তকারী পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। এক সময়ের তরল কালি ও কলমের নিব বিদায় নিয়েছে। বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে গেছে বাঁশের কঞ্চি, ময়ুরপাখা নির্মিত কলম। আধুনিক প্রযুক্তির অসামান্য অবদানে যেন রঙিন ছাপার ধুম পড়েছে কাগজে। বিচিত্র ব্যঞ্জনায় বর্তমানের ‘কাগজ’ এর আদিরূপ হরণ করে হয়েছে ধন্য।
১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর এদেশে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে কাগজ শিল্পের বিকাশ ঘটে। ৫০ এর দশকে স্থাপিত কর্ণফুলী পেপার মিল ও খুলনা নিউজ প্রিন্ট মিল থেকে সারাদেশে কাগজের চাহিদা মেটানো হতো। কালক্রমে কাগজের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। ৬০ এর দশকের শেষের দিকে নর্থ বেঙ্গল পেপার মিলটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। স্বাধীনতার পর ‘সিলেট পাল্প অ্যান্ড পেপার মিল’ রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে স্থাপিত একমাত্র কাগজ কল। বর্তমানে রাষ্ট্রয়ত্ত খাতে ৩ টি কাগজ কল ছাড়াও বেসরকারি মালিকানাধীন ছোট-বড় বহু কাগজ কল রয়েছে। এসব মিলে বিদেশ থেকে মন্ড আমদানি এবং ছেঁড়া বা পুরোনো কাগজ রিসাইকিং করে কাগজ তৈরি করে।
কাগজ তৈরির ইতিহাস
কাগজের ইংরেজি প্রতি শব্দ পেপার। প্যাপিরাস থেকে পেপার শব্দটি এসেছে। প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার মানুষেরা নীল নদের তীরে জন্মানো প্যাপিরাস নামক এক প্রকার গাছের ছাল শুকিয়ে লেখার কাজে ব্যবহার করতো। কিন্তু বর্তমানে আমরা যে ধরনের কাগজের সঙ্গে সঙ্গে পরিচিত তার আবিষ্কার চীনে, ১০৫ খ্রিষ্টাব্দে। সম্রাট হোতাইয়ের রাজ কর্মচারী সাইলুন প্রথম কাগজ তৈরি করেন। তিনি এ কাজের জন্য তুঁতগাছের ভেতর থেকে আঁশ সংগ্রহ করেন। পরে চীনারা আরও বহুবিধ উপকরণ থেকে কাগজ তৈরির প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করেন। তারা পুরোনো মাছ ধরার জাল থেকেও কাগজের মন্ড তৈরি করতেন। চীনাদের কাছ থেকে কাগজ তৈরির শিল্প সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।
মধ্য এশিয়া জয়ের পর মুসলিম বণিকেরা (চীনদের কাছ থেকে) কাগজ শিল্প বিভিন্ন জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করে। ৭৯৫ খ্রিষ্টাব্দে বাগদাদে প্রথম কাগজ শিল্প স্থাপিত হয়। মুসলিমদের শিল্পের প্রভূত উন্নতি ঘটে। আরবদের উত্তর আফ্রিকা অভিযান ও খ্রিস্টানদের ক্রুসেডের মধ্যদিয়ে আফ্রিকা ও ইউরোপে কাগজ প্রস্তুত প্রণালি রফতানি হয়। ১৬৯০ সালে ফিলাডেলফিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কাগজকলটি স্থাপিত হয়। সে সময় পর্যন্ত কাগজ তৈরি হতো আলাদা আলাদা শীটে। ১৭৯৮ সালে নিকোলাসলুইস রর্বাট নামে এক ফরাসী দীর্ঘ রোল-এর আকারে কাগজ তৈরির যন্ত্র আবিস্কার করেন। তখন এই যন্ত্রটির নামকরণ করা হয় ফোরড্রাইনার মেশিন। ১৮২৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম এই যন্ত্র তৈরি হয়। কাগজের মন্ড তৈরির ব্যাপক ব্যবহৃত স্টোন গ্রাউন্ড পদ্ধতি আবিস্কৃত হয় ১৮৪০ সালে জার্মানীতে। ১৮৫৪ সালে ইংল্যান্ডে রাসায়নিক পদ্ধতিতে মন্ড তৈরির প্রক্রিয়া আবিষ্কৃত হয়।

১৮৫০ এর দশকে র্মাকিন রসায়নবিদ বেনজামিন টিলগম্যান সালফিউরাস এসিডের মাধ্যমে কাঠের আঁশ পৃথক করার পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। ১৮৮২ সালে কাঠের মন্ড তৈরিতে ব্যাপকভাবে এই পদ্ধতি ব্যবহৃত হতে থাকে। ১৮৮৩ সালে জার্মান বিজ্ঞানী কার্লডাল আবিষ্কার করেন যে, মন্ড তৈরিকালে সোডিয়াম সালফেট যুক্ত করা হলে আঁশগুলোর রাসায়নিক বন্ধন খুবই দৃঢ় হয়। এই আবিষ্কারের নাম হয় ‘ক্রাফট প্রক্রিয়া’। জার্মান ভাষায় ক্রাফট মানে শক্তিশালী। ১৯০০ সালের শুরু থেকেই ক্রাফট প্রক্রিয়া সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রণালি হিসেবে আবির্ভূত হয়। ‘ফোরড্রাইনার’ এই যন্ত্রটি কাগজ প্রস্তুতের প্রাথমিক হাতিয়ারে পরিণত হয়। বর্তমান যুগে কাগজ প্রস্তুত প্রণালিতে অভাবনীয় উন্নতি ঘটেছে। থার্মো মেকানিক্যাল পাল্পিং, সিনথেটিক ওয়ারস অ্যান্ড ফেল্টস, টুইন-ওয়ার মেশিন ইত্যাদি অত্যাধুনিক পদ্ধতি ব্যবহৃত হচ্ছে কাগজ তৈরির কাজে। ব্যবহৃত হচ্ছে কম্পিউটার। কম্পিউটারের মাধ্যমে কাগজের গুণগত মান নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
কাগজ তৈরির উপকরণ
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে হাজারো রকমের ও মানের কাগজ তৈরি হচ্ছে। উপাদান ও প্রস্তুত প্রণালির উপর কাগজের মান নির্ভর করে। কাগজ তৈরির উপাদান মূলত সেলুলাসযুক্ত আঁশ। প্রতিটি গাছের কোষ প্রাচীরে এই রাসায়নিক উপাদানটি বিদ্যমান। পানির সঙ্গে মিশিয়ে এই আঁশ মসৃণ জালির উপর দিয়ে প্রবাহিত করলে আঁশগুলো পরস্পর যুক্ত হয়ে কাগজে রুপ নেয়। শুকানোর পর কাগজের রাসায়নিক উপাদানগুলো দৃঢ়ভাবে পরস্পর যুক্ত হয়। বিভিন্ন উৎস থেকে কাগজ তৈরির কাঁচামাল সংগ্রহ করা হয়। এসবের মধ্যে রয়েছে বাঁশ, কাঠ, তুলা, আখের ছোবরা, শন, ধান ও গমের বিচালী ইত্যাদি। তবে কাগজ তৈরিতে কাঠ সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের বর্তমান তিনটি কাগজ কল ভিন্ন ভিন্ন কাঁচামাল ব্যবহার করে কাগজ উৎপাদন করে। কর্ণফুলী পেপার মিলে কাগজ তৈরির জন্য ব্যবহার করা হয় বাঁশ। পার্বত্য চট্টগ্রামের বিপুল বাঁশ সম্পদকে সামনে রেখে এই মিলটি তৈরি করা হয়েছে। পাবনার নর্থবেঙ্গল পেপারমিল তৈরি হয়েছে উত্তর বঙ্গের চিনি কলগুলোর উদ্বৃত্ত আখের ছোবড়াকে সামনে রেখে। সুনামগঞ্জের ছাতকে সিলেট পাল্প ও পেপার মিলটি তৈরি হয়েছিল নলখাগড়াকে সামনে রেখে। এখন নলখাগড়া মওজুদ শেষ হয়ে যাওয়াতে বাঁশ ও গাছের উপর নির্ভর করে চলছে এই কলটি। বেসরকারি খাতের মিলগুলো গড়ে উঠেছে বিদেশী পাল্প এবং ছেড়া ও পুরোনো কাগজকে অবলম্বন করে। এই পাল্প ও পুরোনো কাগজ দিয়ে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের কাগজ ও বোর্ড মিল।
বনজ সম্পদের দিক থেকে বাংলাদেশ সমৃদ্ধ নয়। ফলে কাঁচামাল সংকটের কারণে বড় বড় কাগজের কলগুলো বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়। এছাড়া মিলগুলো তৈরি করার সময় কাঁচামাল প্রাপ্তির যে হিসাব করা হয়েছিল তা যথার্থ ছিলনা। একারণে নর্থ বেঙ্গল পেপার মিল ও সিলেট পাল্প অ্যান্ড পেপার মিল প্রায় সময় কাঁচামালের সংকটের কারণে উৎপাদনে বিঘ্ন ঘটে। ফলে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ দু’টি মিল কখনো লাভের মুখ দেখেনি। বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি কাগজ কলগুলোতে যে কাগজ উৎপাদিত হয় তা চাহিদার চেয়ে অনেক কম। উন্নয়নশীল দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশ কাগজ উৎপাদনে অনেক পিছিয়ে।
কাঁচা পাট থেকে কাগজ তৈরি
১৯৯৪ সালের জুলাই মাস থেকে দেশের ৩টি রাষ্ট্রায়ত্ত কাগজ কল কাঁচা পাট থেকে কাগজ তৈরি শুরু করে। দীর্ঘকাল ধরে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে কাগজ তৈরির পরিবর্তে কাঁচা পাট ব্যবহার লাভজনক বিবেচনা করে এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। ১৯৯৫ সাল থেকে পরবর্তী ৭ বছরে কাঁচা পাট থেকে ৬ লাখ ৯৮ হাজার মেট্রিক টন কাগজের মন্ড উৎপাদনের পরিকল্পনা গ্রহণ করে। কাগজ তৈরিতে বাঁশ ও কাঠের উপর চাপ কমাতে এবং প্রতি বছর মন্ড আমদানিতে বিপুল অর্থ ব্যয় পরিহারের উদ্দেশ্যে কাঁচা পাট থেকে মন্ড তৈরির সম্ভাবনাময় এই প্রকল্পটি হাতে নেয়। ১৬.৬৬ মেট্রিক টন সবুজ পাট থেকে এক মেট্রিক টন পাটের আঁশ হয়। আর ১ টন মন্ড তৈরিতে সবুজ পাটের প্রয়োজন হয় মাত্র ৫.৩ মেট্রিক টন।

কচুরিপানা থেকে কাগজের মন্ড
কচুরিপানা থেকে কাগজের মন্ড ও উন্নত মানের কাগজ উৎপাদন করা যেতে পারে। কচুরিপানা থেকে উৎপাদিত কাগজ আমদানিকৃত কাগজের চেয়ে কোনো অংশ কম নয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা ইতিবাচক ফলাফল পেয়েছেন। তাদের মতে, কচুরিপানা থেকে উৎপাদিত মন্ড দিয়ে উন্নতমানের কাগজ তৈরি সম্ভব। এতে খরচও তুলনামূলক কম হবে। দেশে অসংখ্য হাওর, বিল ও পতিত জলাশয় রয়েছে। এগুলোতে পরিকল্পিতভাবে কচুরিপানার চাষ হলে এর সরবরাহেরও কোনো ঘাটতি থাকবেনা। এতে করে দেশের বাঁশ ও গাছের উপর যে চাপ পড়েছে তাও রোধ করা সম্ভব হবে। কচুরিপানা থেকে মন্ড তৈরিতে উল্লেখযোগ্য কোন যন্ত্রপাতি লাগবেনা। সবুজ পাট থেকে যে প্রক্রিয়ায় মন্ড তৈরি হয় প্রায় একই প্রক্রিয়ায় কচুরিপানা থেকে মন্ড তৈরি করা যায়। কোনো চাষাবাদ ছাড়াই দেশের হাওর-জলাশয়ে প্রচুর পরিমাণ কচুরিপানা জন্মে। পরিকল্পিতভাবে কচুরিপানা চাষ করলে অত্যন্ত সহজে প্রয়োজনীয় কচুরিপানা উৎপাদন সম্ভব হবে।
মোট কথা বাংলাদেশে কাগজ শিল্পের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের সামগ্রিক শিল্পখাতে কাগজ শিল্পের ৪.৬৫ ভাগ অবদান রয়েছে। ৫০ এর দশকে বাংলাদেশে যখন কাগজ শিল্পের সূচনা হয় তখন এর সাফল্য ছিল উল্লেখ করার মতো। কিন্তু স্বাধীনতা পরবর্তী কাগজ শিল্পকে জাতীয়করণ করায় বিভিন্ন দলাদলীর কারণে লোকসানের শিকার হয়। আশির দশকের মাঝামাঝি থেকে বেসরকারি খাতে কাগজ কল গড়ে উঠতে শুরু করে। কিন্তু যে আমদানি নীতি ও শুল্ক কাঠামোকে সামনে রেখে স্বল্প সময়ে কাগজ কল গুলো গড়ে উঠেছিল আকস্মিক সে নীতিকে পরিবর্তন করা হয়। এতে বিকাশমান একটি শিল্প রুগ্ন খাতে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এরপরও কাগজ শিল্পের সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেছে এমন ধারণা করার কোনো কারণ নেই। তবে এর সাফল্য সরকারের ইতিবাচক নীতি ও কৌশল গ্রহণ ছাড়া সম্ভব নয়। দেশের উন্নয়নের সঙ্গে কাগজ যেমন ওতপ্রোত ভাবে জড়িত, তেমনি কাগজ শিল্পের অগ্রগতির সঙ্গে জাতীয় স্বার্থও সম্পৃক্ত। এ ব্যাপারে সরকারকে যেমন দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে, তেমনিভাবে শিল্পোদ্যোক্তদেরও নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে নিজেদের।
আরও পড়ুন
গ্রামীণ নারীদের অবদানকে স্বীকৃতি ও অধিকার সময়ের দাবি
আজকের কন্যাশিশু ভবিষ্যতের নোবেল বিজয়ী
লেখক: গবেষক ও সাবেক অধ্যক্ষ
কেএসকে/জিকেএস