ভিডিও EN
  1. Home/
  2. স্বাস্থ্য

টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন

খাবার ও হাত ধোয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১২:১৭ পিএম, ১২ অক্টোবর ২০২৫

টাইফয়েডের কারণে আমাদের দেশের প্রতিবছর অল্প বয়সী অনেক বাচ্চারা মারা যায়, সেকারণে রোগটি নিয়ন্ত্রণে খাওয়া-দাওয়া এবং হাত ধোয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে বললেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

রোববার (১২অক্টোবর) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে আয়োজিত টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, আমরা আমাদের রুটিন টিকা কর্মসূচিতে নতুন একটি টিকা যুক্ত করছি, টাইফয়েড টিকা।

তিনি বলেন, আমরা যখন ছোটবেলায় টিকা নিতাম তখন সেগুলো ছিল যন্ত্রণাদায়ক। ফলে ভয়ের মতোই ছিল টিকাগুলো। কিন্তু এখন ব্যাপারটা এমন না। আমরা যে বিশাল কোভিডে আক্রান্ত হলাম তখন আমি যে ইনস্টিটিউটের দায়িত্বে ছিলাম সেটা একটা টিকাকেন্দ্র ছিল। তখন এই টিকা নিয়ে অনেক ভয় ছিল। টিকাগুলো অজানা, কি সমস্যা তৈরি করতে পারে। আমাদের টিকাকেন্দ্রে আমি টিকা কর্মসূচি উদ্বোধন করেছিলাম। আজকে যদি সুযোগ থাকতো যে আমাদেরও টিকা দেওয়া হবে তাহলে আমিই প্রথম টিকাটা নিতাম। সুতরাং আমি আশা করি, তোমাদের টিকা নিতে আর কোনো ভয় থাকবে না।

আরও পড়ুন:
দেশে প্রথমবারের মতো টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, আমরা এই যে টিকাটা নিতে যাচ্ছি এটা সম্পর্কে আমাদের একটু ধারণা থাকা প্রয়োজন। টাইফয়েডের এগেনেইস্টে টিকা। টাইফয়েড এক ধরনের জীবাণু, একপ্রকার ব্যাকটেরিয়া। টাইফয়েড রোগটার বিস্তার ঘটে সবসময় খাবারের মাধ্যমে ও পানির মাধ্যমে। রোগটা শরীরে প্রবেশ করে খাবারের মাধ্যমে আর ছড়ায় মলত্যগের মাধ্যমে। ফলে এটা নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সহজ। আমাদের যদি জলের ব্যবস্থাটা ভালো থাকে এবং আমরা যদি সতর্ক থাকি, খাবার যদি সবসময় হাত ধুয়ে খাই তাহলে বেশিরভাগ সময়ে এই টাইফয়েডকে এড়ানো সম্ভব। এটাই টাইফয়েড নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে ভালো বুদ্ধি। ফলে আমি তোমাদের পরামর্শ দেবো তোমরা এই অভ্যাস করে নেবে। সবসময় হাত ধুয়ে খাওয়া, মলত্যাগের পর ভালো মতো হাত ধোয়া আর তুমি যেটা খাচ্ছো সেই খাবারটা টাটকা কি না এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা যদি এইভাবে আগাই তাহলে টাইফয়েড থেকে মুক্তি পেতে পারি।

কেআর/এসএনআর/এমএস