হাঁস-মুরগির খামারে অনিয়ন্ত্রিত ওষুধ প্রয়োগ, স্বাস্থ্যঝুঁকির শঙ্কা
খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধের লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত বৈঠক/ছবি: সংগৃহীত
দেশে হাঁস-মুরগির খামারে অনিয়ন্ত্রিত ওষুধ প্রয়োগ হচ্ছে। মুরগিকে যেসব অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানো হচ্ছে তার প্রভাব সাত থেকে ২৮ দিন থাকে। ২৮ দিন পার হওয়ার আগেই সেই মুরগিকে বাজারজাত করা হলে এর মাংসের মাধ্যমে মানবদেহে অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক প্রবেশ করার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ আশঙ্কার কথা জানানো হয়। খাদ্যে বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতি ও এর প্রেক্ষাপটে জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি মোকাবিলায় কার্যক্রম নেওয়া এবং খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধের লক্ষ্যে বৈঠকটি হয়।
এসময় খাদ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা হাঁস-মুরগি, দুগ্ধজাত খাদ্য ও মাছের মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশকারী ক্ষতিকারক পদার্থ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন। তারা জানান, বড় প্রতিষ্ঠানগুলোতে এসব বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা হলেও কিছু চোরাগোপ্তা কোম্পানি কর্তৃপক্ষের নজরদারি এড়িয়ে গোপনে অনিয়ন্ত্রিতভাবে পোলট্রি ফার্ম পরিচালনা করছে।
পোলট্রি ফার্মগুলো নজরদারিতে আনা এবং কৃষিতে অবৈধ কীটনাশকের ব্যবহার রোধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং আরও কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে সে বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
বৈঠকে খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেন, ‘পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য নিশ্চিত করতে গিয়ে কখনো কখনো যা খাচ্ছি তা নিরাপদ কি না সে দিকটি উপেক্ষা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরিতে গণমাধ্যমগুলো ভূমিকা রাখতে পারে। খাদ্যনিরাপত্তা একটি জরুরি বিষয়। পাঠ্যপুস্তকে এ বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত হওয়া প্রয়োজন।’
এমইউ/একিউএফ/এমএস