দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গদের যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় দিতে চান ট্রাম্প
একের পর এক বিতর্ক সৃষ্টির মধ্যেই এবার দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গদের যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার শেতাঙ্গরা। শেতাঙ্গদের প্রায় সব লবি গ্রুপ এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় শেতাঙ্গ ও অশেতাঙ্গদের মধ্যে ব্যাপক ভূমিবৈষম্য রয়েছে। এটি নিরসনে গত মাসে একটি ‘ভূমি অধিগ্রহণ’ আইনে স্বাক্ষর করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা। এরপরই মূলত ট্রাম্প প্রশাসনের ক্ষোভের মুখে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। আর এর পেছনে দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইলন মাস্কের ইন্ধন রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে সই করেন, যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকায় যুক্তরাষ্ট্রের সব ধরনের সহায়তা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই আদেশে আরও বলা হয়, দক্ষিণ আফ্রিকায় অন্যায় জাতিগত বৈষম্যের শিকার আফ্রিকানারদের যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে পুনর্বাসনের সুযোগ দেওয়া হবে।
দক্ষিণ আফ্রিকা এক সময় ব্রিটিশ উপনিবেশ ছিল। ফলে এই অঞ্চলে শ্বেতাঙ্গদের উপস্থিতি বেশি। ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৯৪ পর্যন্ত বর্ণবৈষম্যমূলক শাসনের মধ্য দিয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্রিটিশ শাসকরা যখন দক্ষিণ আফ্রিকা ছেড়ে চলে যায়, তখন তারা বেশির ভাগ কৃষিজমি শ্বেতাঙ্গদের দিয়ে গেছেন। এ জন্য দেশটিতে ভূমিবৈষম্য এখনো প্রকট।
২০১৭ সালের একটি সরকারি জরিপ বলছে, ৮০ শতাংশ দক্ষিণ আফ্রিকান কৃষ্ণাঙ্গ হলেও তারা মোট ব্যক্তিমালিকানাধীন কৃষিজমির মাত্র ৪ শতাংশের মালিক। অন্যদিকে জনসংখ্যার মাত্র ৭ শতাংশ শ্বেতাঙ্গ, যারা মোট জমির প্রায় ৭৫ শতাংশের মালিক।
সূত্র: আল জাজিরা
এসএএইচ
সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক
- ১ মুর্শিদাবাদে বাবরি মসজিদ নির্মাণের জন্য বস্তা-বাক্স ভরে আসছে টাকা
- ২ নেটফ্লিক্সকে টপকে অবিশ্বাস্য দাম হাঁকালো প্যারামাউন্ট-স্কাইড্যান্স
- ৩ নাগরিকদের চীন ভ্রমণে সতর্কতা জারি করলো ভারত
- ৪ জাপানে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প, তিন প্রদেশে সুনামি সতর্কতা
- ৫ ইউরোপের ২৯ দেশে বেড়েছে সাইবার বুলিং, নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ