ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

স্কাই নিউজকে ড. ইউনূস

ডিসেম্বরে নির্বাচন, রোহিঙ্গা ইস্যুও বড় চ্যালেঞ্জ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১২:২০ পিএম, ০৫ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার, দেশের পরবর্তী নির্বাচন, আয়নাঘর এবং রোহিঙ্গা ইস্যুসহ বেশ কিছু বিষয়ে স্কাই নিউজকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি জানিয়েছেন, আগামী ডিসেম্বরের প্রথম দিকেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এর আগেও নির্বাচন নিয়ে একই ধরনের সময়সীমা উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা।

গত সোমবার (৩ মার্চ) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সমতা, প্রস্তুতি ও সংকট ব্যবস্থাপনাবিষয়ক কমিশনার হাজদা লাহবিব দেখা করতে গেলে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ ভোট সম্ভবত চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।

অন্যদিকে স্কাই নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার বিচার হবে। তিনি বলেন, ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য বিচারের মুখোমুখি হবেন।

ক্ষমতায় থাকাকালীন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক গুমের পাশাপাশি গত বছরের জুলাই ও আগস্টে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে গণহত্যার অভিযোগ রয়েছে।

স্কাই নিউজে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, এ ঘটনার বিচার হবে। শুধু তিনি (শেখ হাসিনা) নন, তার সঙ্গে যুক্ত সবার অর্থাৎ তার পরিবারের সদস্য, তার সহযোগী এবং তার আশ্রিত লোকজন যারাই এর সঙ্গে জড়িত সবার বিচার হবে। তিনি বলেন, কেউ কেউ শাস্তি পাবে, কারও বিচারের প্রক্রিয়া শুরু হবে।

রোহিঙ্গা ইস্যুকেও একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন অধ্যাপক ইউনূস। মিয়ানমারের দীর্ঘকালীন গৃহযুদ্ধের পর দেশটি থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে সাহায্য করার জন্য একটি ‌‘নিরাপদ অঞ্চল’ তৈরির সম্ভাবনা নিয়ে তারা এখন মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছেন।

এই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কারণে বাংলাদেশের কক্সবাজারে বড় ধরনের সমস্যাগুলোর কথাও স্বীকার করেন প্রধান উপদেষ্টা। বিশ্বের বৃহত্তম এই শরণার্থী শিবিরে আনুমানিক ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী পালিয়ে এসেছেন এবং সেখানে সহিংসতা, মাদকসহ নানান ধরনের কার্যক্রম আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।

এদিকে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপুল বিক্ষোভের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। তিনি এখনো ভারতেই অবস্থান করছেন। তার বিরুদ্ধে গোপন আটক কেন্দ্রের একটি নেটওয়ার্ক তত্ত্বাবধানের অভিযোগ রয়েছে যেখানে বিরোধী রাজনীতিবিদদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতো, নির্যাতন করা হতো এবং অনেককেই হত্যা করা হয়েছে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ- এমন ব্যানারের আওতায় এসব অপকর্ম করা হয়েছে।

এরই মধ্যে বাংলাদেশ তার বিরুদ্ধে দুটি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তারা আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠিয়েছেন কিন্তু নয়াদিল্লি থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস জোর দিয়ে বলেন যে, শেখ হাসিনা বাংলাদেশে শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকুন বা না থাকুন অথবা ভারতে থাকুন তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

টিটিএন