গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আল-জাজিরার সাংবাদিকসহ নিহত ৬০
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা/ ছবি: এএফপি
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলা এখনও অব্যাহত রয়েছে। সেখানে আল-জাজিরার সাংবাদিক হোসাম শাবাতসহ কমপক্ষে ৬০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। পশ্চিমতীরে ইসরায়েলি বাহিনী অস্কারজয়ী তথ্যচিত্র নির্মাতা হামদান বল্লালসহ তিন ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করেছে। খবর আল জাজিরার।
প্রায় দুই মাস যুদ্ধবিরতির পর মঙ্গলবার থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় ব্যাপক হামলা চালানো শুরু করে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।
তবে হামাস ইসরায়েলের এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে এবং পাল্টা অভিযোগ করেছে যে, কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে ইসরায়েল।
এদিকে ইয়েমেনেও সমানতালে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার ইয়েমেনের দুটি এলাকায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর মধ্যে রাজধানী সানার একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাও রয়েছে যেখানে কমপক্ষে একজন নিহত এবং ১৫ জন আহত হয়েছেন।
গাজায় এরই মধ্যে নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার ৮২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তবে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস বলছে, মৃতের সংখ্যা আরও বেশি। তাদের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গাজায় ৬১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।কারণ, ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ হওয়া হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে মৃত বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।
এর আগে গাজার নাসের হাসপাতালে ইসরায়েলি বোমা হামলায় হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল বারহুমসহ দুজন নিহত হন। ওই হামলার কয়েক ঘণ্টা আগেই আল-মাওয়াসিতে ইসরায়েলি বাহিনী একটি তাঁবুতে বোমা হামলা চালিয়ে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য সালাহ আল-বারদাউইলকে হত্যা করেছে।
- আরও পড়ুন:
- গাজায় হাসপাতালে ইসরায়েলের বোমা হামলা, আরও এক হামাস নেতা নিহত
- ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে ৭ এবং গাজায় ৩৪ জন নিহত
- লেবানন থেকে ইসরায়েলে দফায় দফায় রকেট হামলা
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে ইসরায়েলি বিমান হামলায় হামাসের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতা সালাহ আল-বারদাউইল নিহত হন। স্থানীয় সময় রোববার (২৩ মার্চ) সকালে এক হামাস কর্মকর্তা বিবিসিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
টিটিএন